ইতিহাস গড়লেন শিবলী আলম
ইতিহাস গড়লেন শিবলী আলম: টেমসসাইডের প্রথম বাংলাদেশি নারী মেয়র
ইংল্যান্ডের টেমসসাইড কাউন্সিলের ইতিহাসে যুক্ত হলো এক অনন্য অধ্যায়। প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি নারী হিসেবে টেমসসাইড কাউন্সিলের নাগরিক মেয়র নির্বাচিত হয়ে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম উজ্জ্বল করে তুললেন কাউন্সিলর শিবলী আলম।
গত ২০ মে, মঙ্গলবার, ডুকিনফিল্ড টাউন হলে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য ও মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে শপথ নেন তিনি। অনুষ্ঠানে তাঁকে টেমসসাইডের ৫০তম নাগরিক মেয়র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়।
শুধু টেমসসাইড নয়—এই গৌরব extends beyond the borough—উত্তর ইংল্যান্ডজুড়েই স্থানীয় কোনো কর্তৃপক্ষে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী মেয়র, যা প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য এক গর্বের মাইলফলক।
শপথ গ্রহণের পর আবেগভরা কণ্ঠে শিবলী আলম বলেন, “টেমসসাইডের নাগরিক মেয়র হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত এবং গভীরভাবে সম্মানিত।” তিনি তাঁর পূর্বসূরি কাউন্সিলর বেটি অ্যাফ্লেকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “তিনি যে উচ্চ মানের নেতৃত্ব ও দায়িত্ববোধের দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তা ধরে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
নতুন দায়িত্বকে সামনে রেখে আশাবাদী কণ্ঠে তিনি বলেন, “আগামী বছরটি হবে আমার জীবনের অন্যতম ব্যস্ত সময়। আমি স্কুল, স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা এবং কমিউনিটির যত বেশি সম্ভব মানুষের সঙ্গে দেখা করতে চাই।”
মাত্র আট বছর বয়সে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান শিবলী আলম। এরপর টেমসসাইডেই গড়ে উঠেছে তাঁর স্বপ্ন ও সংগ্রামের গল্প। ২০১৯ সালে হাইড ওয়াইর্নেথ ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর নেতৃত্ব, নিষ্ঠা ও জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড তাঁকে দ্রুতই পরিচিত করে তোলে। বর্তমানে তিনি বরোর ডেপুটি মেয়র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
শিবলী আলমের এই অর্জন শুধুমাত্র তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্য নয়—এটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্ভাবনা ও সক্ষমতার এক দীপ্ত প্রতিচ্ছবি। তাঁর নেতৃত্বে টেমসসাইড আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুজাতিক সমাজে রূপ নেবে—এ প্রত্যাশা সবার।
