‘আগে চাঁদা দিতে হতো একজনরে, এখন দিতে হইতেছে চার-পাঁচজনরে’

ঢাকার ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজির ক্রমবর্ধমান চাপে অতিষ্ঠ। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর একাধিক গ্রুপের চাঁদার দাবিতে বিপর্যস্ত তাদের ব্যবসায়িক জীবন। "আগে একজনকে দিতাম, এখন চার-পাঁচজনকে দিতে হয়। কীভাবে ভালো থাকব?" বলছেন ঢাকার এক ব্যবসায়ী জায়েদুল ইসলাম (ছদ্মনাম)। তার দাবি, বিএনপির সংশ্লিষ্টরা মামলার হুমকি দিয়ে গত কয়েক মাসে ১৫ লাখ টাকা আদায় করেছেন।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কারওয়ান বাজার ও গুলিস্তানের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। ট্রাকচালক সেলিম হোসেন যশোর থেকে ঢাকায় আসতে চারটি পয়েন্টে চাঁদা দিয়েছেন। তিনি বলেন, খালি কাপড় বদলাইছে, চাঁদাবাজি থামে নাই। বাজারে পণ্য খালাস করতে গাড়িপ্রতি ১,০০০ টাকা এবং দোকান বসাতে এককালীন ১ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ী আমজাদ আলীর।
গুলিস্তানের ফুটপাত দখল করে হকারদের কাছ থেকে মাসিক ৯ হাজার থেকে এক লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। হকার মোহাম্মদ রাসেল জানান, টাকা না দিলে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে তাকে। স্থানীয় বিএনপি নেতা শাকিল ও সেলিমের নাম উল্লেখ করেন ভুক্তভোগীরা, যদিও অভিযুক্তরা দাবি করেন নিরপেক্ষ।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ দাবি করেন, আসলে বাংলাদেশের কালচারটাই নষ্ট করে দিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। এদিকে, সরকার চাঁদাবাজি বন্ধে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, শুধু দলীয় ব্যানার বদলেছে।