হাইকোর্টের আদেশে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই নির্বাচন স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন উচ্চ আদালত। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসুর কেন্দ্রীয় কমিটি ও হল সংসদগুলোর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদেশে রিটকারী বামজোটের প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলমকে এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ ১৫ দিনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের শুনানিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গতকাল রোববার (৩১ আগস্ট) একটি রিট দায়ের করা হয়। বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম এই রিটটি করেন।
গত ২৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
প্রায় ২৮ বছর পর সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে গোলাম রাব্বানী এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে সাদ্দাম হোসেন বিজয়ী হন।
প্রায় ছয় বছর পর তফসিল ঘোষণার পর ক্যাম্পাসে সক্রিয় সংগঠনগুলো প্যানেল ঘোষণা করে বেশ জোরেশোরে প্রচার শুরু করে। স্বতন্ত্র প্যানেলও ঘোষণা করা হয়। তবে ভোটগ্রহণের সপ্তাহখানেক আগে স্থগিত হয়ে গেলে ‘দ্বিতীয় পার্লামেন্ট’ খ্যাত এই নির্বাচন।