ইতালিতে আশ্রয় চেয়েছেন ৪০ হাজার বাংলাদেশি
ইউরোপে অভিবাসনের অন্যতম বড় গন্তব্য এখন ইতালি। দেশটিতে বৈধভাবে লাখো বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করলেও, অবৈধ অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে দিন দিন। এরই মধ্যে ইতালিতে প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে এ তথ্য জানান ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও অ্যালেসান্দ্রো। তিনি জানান, বর্তমানে ইতালিতে বৈধভাবে বসবাস করছেন দুই লাখের বেশি বাংলাদেশি, আর অবৈধভাবে রয়েছেন প্রায় ৭০ হাজার জন। অবৈধ অভিবাসন রোধে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছে ইতালি।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ভুয়া কাগজপত্র ও ভুল তথ্য দিয়ে ইতালিতে প্রবেশের চেষ্টা করায় দেশটি সম্প্রতি প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশির কাজের অনাপত্তি সনদ বাতিল করেছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনকারীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের আবেদন ইতোমধ্যেই খারিজ করা হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা জানান, ইতালি বৈধভাবে বাংলাদেশি শ্রমিক নিতে আগ্রহী। তবে অবৈধ পথে যাওয়া বন্ধ করতে হবে আগে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ও ইতালি সরকারের মধ্যে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও মানব পাচার প্রতিরোধে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি অনুবিভাগ) খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, অভিবাসন ইস্যুতে ইতালি সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিকেরা কীভাবে অবৈধভাবে ইতালি যাচ্ছেন, সেখানে গিয়ে কী সমস্যায় পড়ছেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিবাসন বন্ধে আইন প্রণয়নের বিষয়ও বৈঠকে উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে ঢাকা সফরে এসেছিলেন ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতিও পিয়ানতেদোসি। তিনি তখনও অবৈধ অভিবাসন ও বৈধ শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলেন।
