শুক্রবার , ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Friday , 05 September 2025
১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চোখ ধাঁধানো অস্ত্র শোভাযাত্রা দেখিয়ে বিশ্বকে চমকে দিল চীন

চোখ ধাঁধানো অস্ত্র শোভাযাত্রা দেখিয়ে বিশ্বকে চমকে দিল চীন
ছবি: সংগৃহীত

চোখ ধাঁধানো এক সামরিক প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শক্তি ও কৌশলগত সক্ষমতা দেখালো চীন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে জয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার তিয়ানানমেন স্কোয়ারে আয়োজিত মহাকুচকাওয়াজে হাজির ছিলেন প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। তাঁর পাশে ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। শান্তির বার্তা দিলেও, সি চিনপিংয়ের নেতৃত্বে এই প্যারেড ছিল মূলত চীনের সামরিক সামর্থ্যের প্রদর্শনী।

প্যারেডে প্রথমবারের মতো দেখানো হয় তরল জ্বালানিচালিত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) ডিএফ-৫সি। এর পাল্লা ২০ হাজার কিলোমিটারের বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রদর্শিত হয় আরও ছয় প্রকার নতুন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা—এইচকিউ-১১, এইচকিউ-২০, এইচকিউ-২২এ, এইচকিউ-৯সি, এইচকিউ-১৯ ও এইচকিউ-২৯। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগুলো মিলিয়ে চীন এখন বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি, যাদের পূর্ণাঙ্গ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।

কুচকাওয়াজে ছিল ড্রোনবিরোধী শক্তিশালী অস্ত্রসম্ভার—লেজার, মাইক্রোওয়েভ ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, যা মিলিতভাবে গঠন করেছে ‘আইরন ট্রায়াড’। প্রদর্শিত হয়েছে মানববিহীন স্থলযান ও আকাশযান, যেগুলো ভবিষ্যতের নগরযুদ্ধ ও জটিল অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আনা হয় চার ধরনের ওয়াইজে সিরিজ অ্যান্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র, যার মধ্যে তিনটি হাইপারসনিক। এগুলো রণতরী, যুদ্ধবিমান ও সাবমেরিন থেকে ব্যবহারযোগ্য। এ ছাড়া চার প্রকার যুদ্ধজাহাজভিত্তিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জামও তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে লেজার অস্ত্রও রয়েছে।

সবশেষে চীন দেখিয়েছে স্থল, সমুদ্র ও আকাশভিত্তিক পারমাণবিক ‘ট্রায়াড’। এতে ছিল জিংলেই-১ আকাশভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র, জুলাং-৩ সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং নতুন ডংফেং সিরিজের আইসিবিএম। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ প্রদর্শনী শুধু শক্তি প্রদর্শন নয়, বরং বৈশ্বিক সামরিক ভারসাম্যে চীনের ক্রমবর্ধমান অবস্থানের ইঙ্গিত।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়