বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারী নিহত
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের একটি পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে উত্তরা-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেল চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেট এলাকার ৭ নম্বর পিলারের কাছাকাছি এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন বলেন, বিয়ারিং প্যাডটি খুলে নিচে পড়ে এক পথচারীর ওপর আঘাত হানে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ওসি আরও বলেন, নিহত ব্যক্তির কাছে পাওয়া পাসপোর্ট অনুযায়ী তার নাম আবুল কালাম, বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। জন্মসাল ১৯৯০। তবে তার পরিবারকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পরপরই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে কখন থেকে পুনরায় চলাচল শুরু হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
ডিএমটিসিএলের এক কর্মকর্তা জানান, বিয়ারিং প্যাড মেট্রোরেলের লাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি না থাকলে উড়ালপথের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে নিচে পড়ে গিয়েছিল। সে সময় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল।
বিশেষজ্ঞরা তখন রক্ষণাবেক্ষণ ও নকশাগত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
এর মধ্যে দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটায় প্রকল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
বিয়ারিং প্যাড হলো উড়ালপথের পিলার ও রেললাইনের সংযোগস্থলে থাকা রাবারজাত ভারবাহী প্যাড, যা লাইনের স্থিতি ও কম্পন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
প্রতিটি প্যাডের ওজন প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি। এটি স্থানচ্যুত বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ট্র্যাকের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
পরপর দুই ঘটনায় মেট্রোরেলের রক্ষণাবেক্ষণ মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, উচ্চমানের অবকাঠামো হলেও নিয়মিত পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণে ঘাটতি থাকলে এমন দুর্ঘটনা ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ হতে পারে।




































