দুই দশক পর গণমাধ্যমে মুখ খুললেন তারেক রহমান
প্রায় দুই দশক পর প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করলেও মন-মানসিকতায় এখনও পুরোপুরি বাংলাদেশেই আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান নির্বাচন, রাজনীতি, দেশে ফেরা ও জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানসহ নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, আমি শারীরিকভাবে ভালো আছি। সময় স্বাভাবিকভাবে ব্যস্ত যাচ্ছে। ফিজিক্যালি আমি হয়তো যুক্তরাজ্যে আছি, কিন্তু মন-মানসিকতায় আমি তো গত ১৭ বছর বাংলাদেশেই রয়ে গেছি।”
২০০৭ সালের এক/এগারো পর্বে সেনাসমর্থিত সরকারের আমলে গ্রেফতারের পর ২০০৮ সালে তিনি সপরিবারে লন্ডনে পাড়ি জমান। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তার অনুপস্থিতিতে একাধিক মামলায় সাজা হয় এবং আদালতের নির্দেশে তার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সে প্রসঙ্গে তারেক বলেন, “আমি কথা বলিনি, এমন নয়। আদালতের আদেশে আমার গণমাধ্যমে কথা বলা বন্ধ করা হয়েছিল। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে আমি সবসময় মানুষের সঙ্গে যুক্ত থেকেছি।”
সাক্ষাৎকারে তিনি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। তারেক রহমান বলেন, “আমি নির্বাচনে অংশ নেব এবং আশা করছি ভোটের সময় দেশে থাকব।” পাশাপাশি তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ারও এই নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “আমি নিজেকে ওই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড মনে করি না। দেশের জনগণই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আসল নায়ক।”
দেশে ফেরা নিয়ে তারেক রহমান বলেন, “খুব শিগগিরই দেশে ফিরব। আশা করছি, একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।”





































