বৃহস্পতিবার , ১৪ আগস্ট ২০২৫
Thursday , 14 August 2025
১৮ সফর ১৪৪৭

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:০২, ১১ আগস্ট ২০২৫

অলরাউন্ডার রাতুলের আইডল অলরাউন্ডার সাকিব

অলরাউন্ডার রাতুলের আইডল অলরাউন্ডার সাকিব
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাইরে পরপর দুটি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব ১৯ দল। গেল মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর গতকাল ত্রিদেশীয় সিরিজেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টাইগার যুবারা। জিম্বাবুয়ে-দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে এই ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যাট কিংবা বল হাতে নিজের সক্ষমতার জানান দিয়েছেন সামিউন বশির রাতুল।

কুষ্টিয়ার এই অলরাউন্ডার সবশেষ এই সিরিজে দুটি ম্যাচে দলকে নিজ হাতে জিতিয়েছেন। সিরিজজুড়ে বল হাতে ছিল দুর্দান্ত ইকোনমি। সঙ্গে ব্যাট হাতেও দলের হয়ে রেখেছেন বড় অবদান। সিরিজ জয়ের পর জানিয়েছেন নিজের পারফর্ম নিয়ে বিস্তারিত কথা।

পরপর দুটি সিরিজ জয় দেশের বাইরে, কিভাবে দেখছেন?

রাতুল: আলহামদুলিল্লাহ, দেশের বাইরে যেহেতু ভালো লাগতেছে। পরপর দুইটা সিরিজ জিতলাম প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকাতে খেললাম। সেখানে জিতলাম তারা কিন্তু অনেক ভালো দল। তাদের সাথে ওই কন্ডিশনে খেলার পরে জিম্বাবুয়েতে এসে আবার অন্য কন্ডিশন ছিল। আমাদের শুরুতে মানিয়ে নিতে একটু কষ্ট হয়েছিল। এরপর আমরা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ভালো খেলেছি। প্রতিটা বিভাগ আমরা নিজেদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি।

এই মাঠেই যুব বিশ্বকাপ খেলবেন, এই জয় নিশ্চয় বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে?

রাতুল: হ্যাঁ অবশ্যই। দেখেন এই মাঠেই এই কন্ডিশনে কিন্তু যুব বিশ্বকাপ হবে। তো সেটার একটা আলাদা অভিজ্ঞতা আমরা অর্জন করতে পারলাম। এটা আমাদের জন্য অনেক কাজে দিবে। আমরা ইন শা আল্লাহ বিশ্বকাপে ভালো করতে পারব।

সিরিজে ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান সঙ্গে বোলিংয়েও...

রাতুল: আলহামদুলিল্লাহ ভালো করতে পারলে তো অবশ্যই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করেছি আমার নামের পাশে অলরাউন্ডার যে নামটা সেটা ধরে রাখার। দেখেন আমার কাজই তো এটা, এভাবে পারফর্ম করা দলের হয়ে অবদান রাখা।

চাপের মুহূর্তে কিভাবে শান্ত থাকেন? ত্রিদেশীয় সিরিজে দুটি ম্যাচ একা হাতে জিতিয়েছেন।

রাতুল: আমার চিন্তা সবসময় পজেটিভ থাকে। এই পজেটিভ মাইন্ড সেটআপ নিয়ে সবসময় খেলার চেষ্টা করি। যে কারণে চাপের সময় ফলাফলটা পক্ষে আসে। বাইরের কোনো কিছু নিয়ে ভাবিনা, সামনে কে বা কারা বোলিং কিংবা ব্যাটিং করছে।

যে পরিস্থিতিই থাকুক না কেন বড় শট খেলার আত্মবিশ্বাস আপনি কিভাবে খুঁজে পান?

রাতুল: বড় শট খেলার প্রবণতাটা আসলে ছোটবেলা থেকেই। সেটা যে এখন এসেছে এমন না। ছোট থেকে আমি চেষ্টা করতাম বড় শট খেলার। ছোট থেকেই আমি বড় শট খেলে রান করতে পছন্দ করতাম। আমার আসলে ভালো লাগতো এভাবেই রান করতে। সেই ভালো লাগাটা এখন আসলে অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যখন দলের প্রেশার আসে তখন আমি শট খেলেই আসলে রিলিফ হওয়ার চেষ্টা করি।

যেখানেই খেলেন স্ট্রাইক রেট সবসময় বেশি থাকে। শচীনের শহরেও ১০৫ স্ট্রাইকরেটে খেলেছিলেন ২০২৩ সালে...

রাতুল: আমি আসলে অত কিছু চিন্তা করি না। প্রতিটি বল বাই বল খেলার চেষ্টা করি। যেটা খারাপ বল পাই সেটা শট খেলার চেষ্টা করি, যেটা ভালো বল সেটা ডিফেন্ড করার চেষ্টা করি। মেইনলি আসলে আমি শট খেলতে না পারলে সেটা সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টা করি। আর সত্যি কথা বলতে আসলে স্ট্রাইকরেট ঠিক রেখে খেলাটা আমার ন্যাচারাল বলতে পারেন।

বাঁ-হাতি স্পিন বোলিং করেন, কোন কোচের সঙ্গে আলাদাভাবে অনুশীলন, কাজ করেন?

রাতুল: স্পেশালি আসলে এখানে কিছু কাজ করেছি ডলার স্যারের সাথে। তার আগে ডিপিএল চলাকালীন সময়ে সোহেল স্যারের সাথে কাজ করেছিলাম। আর স্পেশাল বলতে আমার একটা বড় ভাই আছে আমার এলাকার উনি ডিপিএল খেলেন রাহয়ান উদ্দিন। উনার কাছ থেকে বোলিংয়ে সব সময় কাজ করা হয়। আর ইন শা আল্লাহ যেগুলো সমস্যা আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। সবকিছু তো একবারে পারফেক্ট হয় না।

গেল বছর এনসিএল টি-টোয়েন্টি, চলতি বছরে ডিপিএল খেলেছেন। এগুলো বাড়তি সাহস, আত্মবিশ্বাস দেয় কি না?

রাতুল: হ্যাঁ, হ্যাঁ, অবশ্যই। দেখেন ডিপিএলে কিন্তু দেশের সব তারকা ক্রিকেটাররা খেলেন। সবথেকে বড় টুর্নামেন্ট ঘরোয়াতে এটা। তো এসব বড় বড় তারকাদের সাথে খেলে আমাদের আত্মবিশ্বাসটা কিন্তু অনেক বড় হয়। আলহামদুলিল্লাহ আমরা যারা খেলেছিলাম সবারই উন্নতি হয়েছে।

নির্বাচক এহসানুল হক সেজান কেমন সাহস যোগান আপনাকে?

রাতুল: স্যারের সাথে সবসময় কথা হয়। স্যার সবসময় আমাকে উৎসাহ দেয় বলে যে তুই ভালো খেলোয়াড়। আর ভালো খেলবি এগুলা আর কি। স্যারের সাথে আসলে সব কিছু বিষয় খোলামেলা আলোচনা হয়, অনেক ফ্রি বলা যায়।

আপনি অলরাউন্ডার। সেই হিসেবে নিজের আইডল কে?

রাতুল: আসলে ছোটবেলা থেকেই সাকিব আল হাসানকে ভাইকে আইডল মনে করি। আমার সবথেকে সাকিব ভাইয়ের একটা কথা ভালো লাগে যে উনি চাপের মুখে শান্ত থাকেন। এটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কখনো ভাইয়ের সাথে কথা হয়নি কিন্তু সরাসরি দেখেছি অনুশীলন করতে। যদি কখনো কথা হয় তার থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে। কিন্তু চাপের মুখে উনি কিভাবে বোলিং-ব্যাটিং করেন এটা আসলে শুনতে চাই, জানতে চাই, শিখতে চাই।

ড্রেসিংরুমে সবচেয়ে মজার টিমমেট কে? খারাপ সময়ে কে সাহস যোগায় বেশি?

রাতুল: আমরা আসলে সবাই খুব চিল থাকি। স্পেশালি নাম বলতে গেলে আমরা পাঁচ সাতজন আছি। সব সময় তারা চিল থাকে, কোনো সমস্যা না ইন শা আল্লাহ। টিমের ভেতরে বন্ডিং খুবই ভালো, একজনের সমস্যা হলো অন্যজন এগিয়ে আসে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়