বদলি–পদোন্নতি বাণিজ্যের বিরুদ্ধে বিকল্পহীন জিয়া পরিষদ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পেশাজীবী বুদ্ধিজীবী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত জিয়া পরিষদের কৃষি ব্যাংক প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট কমিটি গঠিত হয়েছে সম্প্রতি। এই কমিটিকে ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা স্বাগতম জানিয়েছেন। কিন্তু কৃষি ব্যাংকে যারা বদলি বাণিজ্য পদোন্নতি বাণিজ্য এবং বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত তারা জাতীয়তাবাদী ফোরাম নামে একটি ভূইঁফোড় সংগঠন গঠন করেছে যা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কোন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নয়।
জাতীয়তাবাদী দলের সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এক বিবৃতিতে বলেছেন জাতীয়তাবাদী দলের নাম ভাঙিয়ে যদি কেউ কোন নাম সর্বস্ব সংগঠন তৈরি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সাথে কৃষি ব্যাংকের অননুমোদিত সিবিএর এর কমিটির ফয়েজ ও মিরাজ নিজেদেরকে যথাক্রমে সভাপতি ও সেক্রেটারি দাবি করছে যা সত্যিকার অর্থেই ভূয়া।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এখনো সভাপতি এবং সেক্রেটারি হিসেবেই নাম দেখাচ্ছে প্রয়াত আব্দুল হালিম ও নাসিম হোসেন। কিন্তু এই স্বঘোষিত সিবিএর সভাপতি ও সেক্রেটারি কৃষি ব্যাংক জিয়া পরিষদ কে বিতর্কিত করার জন্য নানান ধরনের মিথ্যা ও গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালগুলোতে ছড়াচ্ছে।
বাস্তবিক অর্থে জিয়া পরিষদের কমিটি গঠিত হওয়ার পর থেকে বিকেবিতে এক অন্য রকম স্বস্তি ও কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এই সংগঠনে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তার সবাই ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পদধারী পরীক্ষিত নেতা কর্মী ও জাতীয়তাবাদী আদর্শে উজ্জীবিত ছিলেন।
কৃষি ব্যাংককে বদলি বাণিজ্য পদোন্নতি-বাণিজ্য এবং বিভিন্ন টেন্ডারবাজি থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনার জন্য জিয়া পরিষদ কৃষি ব্যাংকের কোন বিকল্প নাই। সকল স্তরের অফিসারদের সামগ্রিক কল্যাণে জিয়া পরিষদ কাজ করবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির বিকেবি প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিটের সভাপতি সোহরাব জাকির ও সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহম্মেদ শামীম।