এনবিআরে হচ্ছেটা কী: আন্দোলন-পরবর্তী অস্থিরতা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আন্দোলন-পরবর্তী পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। কেউ পাচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত পদায়ন, আবার কেউ হচ্ছেন চাকরিচ্যুত বা সাময়িক বরখাস্ত। একই ঘটনায় কারও ভাগ্যে জুটছে পুরস্কার, আবার কেউ পড়ছেন চরম শাস্তির মুখে।
ঘটনার শুরু ১২ মে, যখন সরকার অধ্যাদেশ জারি করে এনবিআরকে দুটি বিভাগে ভাগ করে—রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি। সিদ্ধান্তকে ‘মর্যাদাহানিকর’ দাবি করে অনেক কর্মকর্তা আন্দোলনে নামেন। এরপর আন্দোলন, কর্মসূচি, এমনকি এনবিআরের সব কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। সরকার বাধ্য হয়ে এনবিআরের সেবা ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ঘোষণা করে কর্মীদের কাজে ফেরায়।
কিন্তু আন্দোলন শেষ হলেও শুরু হয় নতুন অধ্যায়। দুদক ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তথ্যানুসন্ধান শুরু করে। এনবিআর একের পর এক কঠোর ব্যবস্থা নেয়—কেউ বাধ্যতামূলক অবসর, কেউ সাময়িক বরখাস্ত। সর্বশেষ সোমবার (১৮ আগস্ট) কাস্টমস ও ট্যাক্স ক্যাডারের ৯ কর্মকর্তাসহ মোট ৩৬ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে আন্দোলনে অংশ নিয়েও প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে অনেক কর্মকর্তা পাচ্ছেন প্রাইজ পোস্টিং। কেউ আবার পদায়িত হয়েছেন বন্ধ প্রকল্পে, আবার যাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ছিল, তারাও ফিরেছেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে।
ফলে মাঠপর্যায়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক কর্মকর্তা মনে করছেন, আন্দোলনকে পুঁজি করে ব্যক্তিগত রোষানলে পড়ে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, “একই অপরাধে” কারও প্রাইজ পোস্টিং, আবার কারও চাকরিচ্যুতি—এমন বৈপরীত্য প্রশাসনের ভেতরেই অস্থিরতা বাড়াচ্ছে।





































