নিয়ম ভেঙে ডাকসু ভবনে এসি বসাচ্ছেন ভিসি

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এখন বাজেট ঘাটতি, গবেষণা ব্যয় কমে যাওয়া, আর আবাসন সংকটে জর্জরিত ক্যাম্পাসজীবনের মাঝেই আলোচনায় এসেছে এক নতুন উদ্যোগ। নিয়ম ভেঙে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে নয়টি এসি বসানোর অনুমোদন দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ। এ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ নিজেই এ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে রাজস্ব বাজেট থেকেই এসি বসানোর অনুমোদন দেওয়া হয়। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম তখন ছুটিতে ছিলেন; তাঁর দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ ফাইলটি ফরওয়ার্ড করেন। দেশে ফেরার পর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমি থাকলে অবশ্যই প্রশ্ন তুলতাম। নিয়ম ভেঙে এমন অনুমোদন হওয়া উচিত নয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর জানিয়েছে, “গ্রি” কোম্পানির ৯টি এসি সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় (ডিপিএম) বসানো হচ্ছে, যা সরকারি ক্রয়বিধির ব্যতিক্রম। এই প্রকল্পে ডাকসুর মোট ব্যয় ৩০ লাখ টাকার মধ্য থেকে প্রায় সবটাই খরচ হয়ে যাচ্ছে সংস্কার, আসবাব ও সাজসজ্জায়।
অধ্যাপক মামুন আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদা পূরণ না হলে এমন বিলাসী ব্যয় ঠিক নয়।’ অন্যদিকে ভিপি আবু সাদিক কায়েম চাপের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ডাকসু ভবনে বসার পরিবেশই ছিল না। কাজের পরিবেশ তৈরির কথা বলেছি, এসি বসানোর দাবি করিনি।’
উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে—‘যদি অনুমোদনে অনিয়ম থেকে থাকে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’