বুধবার , ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Wednesday , 24 September 2025
৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:৫০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যেভাবে ‌‘ন্যানো ব্যানানা এআই শাড়ি’র ট্রেন্ডে মেতেছে নেট দুনিয়া

যেভাবে ‌‘ন্যানো ব্যানানা এআই শাড়ি’র ট্রেন্ডে মেতেছে নেট দুনিয়া
ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদিনই নতুন নতুন ট্রেন্ড দেখা যায়। কিছুদিন আগেও নেটিজেনদের মাতিয়েছিল ‘গিবলি আর্ট’, এবার সেই জায়গা দখল করেছে ‌‘ন্যানো ব্যানানা এআই শাড়ি’ ও ‘থ্রি-ডি ফিগারিন’। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম খুললেই চোখে পড়ছে লাল বা সাদা শাড়ি পরা নারীর ছবি, কপালে টিপ আর মাথায় ফুল সাজানো অবয়ব। অনেকের ক্ষেত্রে আবার দেখা যাচ্ছে তাদের থ্রি-ডি মূর্তি ও ক্যানভাসে আঁকা প্রতিকৃতি। এসবই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে তৈরি।

নতুন এই ট্রেন্ডের নেপথ্যে রয়েছে গুগলের জেমিনি মডেলের বিশেষ এআই টুল ‌‘ন্যানো ব্যানানা’। প্রম্প্ট বা নির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী এই টুল ছবি তৈরি করে। শাড়ির রঙ, ব্যাকগ্রাউন্ড, আলো বা চুলের স্টাইল— সবকিছু ঠিক করে দেওয়া যায় ব্যবহারকারীর চাহিদা মতো। তবে কাঙ্ক্ষিত ছবি পেতে সঠিক প্রম্প্ট ব্যবহার করা জরুরি।

শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশেও এই ট্রেন্ড ঝড় তুলেছে। গবেষক সিমরন পি কৌরের মতে, লাখো ব্যবহারকারী এই ট্রেন্ডে অংশ নিচ্ছেন। সেলেব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ— সবাই সামাজিক মাধ্যমে এআই-শাড়ি ও থ্রি-ডি ফিগারিন শেয়ার করছেন। এমনকি বলিউড তারকাদের অনেকেও এই ধারা অনুসরণ করছেন। ফলে ট্রেন্ডটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

তবে সবার অভিজ্ঞতা একরকম নয়। কেউ কেউ কাঙ্ক্ষিত ছবি পেতে বারবার চেষ্টা করেছেন, আবার কেউ বলেছেন এআই এডিট করা ছবির সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। টলিউড অভিনেত্রী রূপসা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি ট্রেন্ডে না জড়ালেও ভক্তদের পাঠানো এডিটেড ছবি দেখে বুঝতে পেরেছেন এগুলো নিজের চেহারারই রূপান্তর। অন্যদিকে, অপেশাদার ফটোগ্রাফার উজ্জ্বল রায় মনে করেন, এআই কোনোদিন ফটোগ্রাফির আনন্দকে টপকাতে পারবে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই-ভিত্তিক এই ইমেজ জেনারেশন সৃজনশীলতার নতুন দিগন্ত খুলে দিলেও এতে প্রাইভেসি ও কপিরাইটের ঝুঁকি রয়ে গেছে। এছাড়া ডিপ ফেক প্রযুক্তির মতো অপব্যবহার নিয়েও উদ্বেগ আছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়