মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের নিয়ে শঙ্কা, বাড়ছে খরচ
মালয়েশিয়া যেতে না পারা বাংলাদেশি কর্মীদের পাঠানো নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ মে’র মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করেও যাওয়া হয়নি প্রায় ১৭ হাজার কর্মীর। পরে নতুন করে সুযোগ তৈরি হলেও এবারও তাদের মধ্যে থেকে বাছাইকৃত প্রায় ৭ হাজার ৮৬৯ জন কর্মীর ভাগ্য ঝুলে আছে।
সরকারি সংস্থা বোয়েসেল এর মাধ্যমে এ কর্মীদের পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও মালয়েশিয়ান নিয়োগদাতাদের কাছ থেকে কোনো চাহিদাপত্র আসেনি, যা সবচেয়ে বড় শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময়সীমা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর, ফলে সময়ও সংকুচিত হয়ে এসেছে।
এদিকে কর্মীদের জন্য ব্যয় নির্ধারণে এসেছে বড় পরিবর্তন। আগে কেবল বিমানভাড়া দিলেই যাওয়ার কথা থাকলেও এখন নতুন করে ১ লাখ ৬২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সার্ভিস চার্জ, সিআইডিবি প্রশিক্ষণ ফি, সাক্ষাৎকার ফি ও বিমানভাড়া।
পটুয়াখালীর রাব্বি হোসেন বলেন, “গত বছর সাড়ে ৫ লাখ টাকা দিয়েও যেতে পারিনি। এবারও এত টাকা যোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছি। না গেলে আগের টাকাও যাবে।”
এদিকে মালয়েশিয়া এবার নির্মাণ খাতের জন্য প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। সিআইডিবির অধীনে ইট গাঁথা, প্লাস্টারিং ও কার্পেন্ট্রি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা নিয়ে কর্মীদের যোগ্যতা যাচাই করা হবে। উত্তীর্ণ না হলে তারা মালয়েশিয়া যেতে পারবেন না।
বোয়েসেলের এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা চাহিদাপত্রের জন্য অপেক্ষা করছি। শিগগিরই ৩ হাজার কর্মীর চাহিদা আসতে পারে। তবে সময়ের স্বল্পতা ও জটিল প্রক্রিয়ার কারণে অনেকেই যেতে পারবেন না।”
কর্মী পাঠাতে সিন্ডিকেট ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর অনাগ্রহের কথাও উঠে এসেছে। তারা সরকারি প্রক্রিয়ার বাইরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে কর্মী পাঠাতে চায়, ফলে প্রকৃত ভুক্তভোগীরা আবারও বিপাকে পড়ছেন।
সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আবারও হাজারো শ্রমিকের স্বপ্নভঙ্গ হতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।





































