ইসফাকের স্থলাভিষিক্ত রুবাবা দৌলা মতিন
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কেন বহিষ্কার বিসিবি পরিচালক ইসফাক?

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের সদ্য ঘোষিত নির্বাচনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) কোটা থেকে পরিচালক মনোনীত হয়েছিলেন যুবলীগের সাবেক নেতা এম ইসফাক আহসান। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হওয়া তীব্র সমালোচনার মুখে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাকে পদচ্যুত করেছে এনএসসি।
গত সোমবার (৬ অক্টোবর) বিসিবি নির্বাচনের ফলাফলে ইসফাক আহসানের নাম প্রকাশ হওয়ার পরপরই দেশজুড়ে তৈরি হয় বিতর্ক। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা এবং অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে তার বিসিবি পরিচালকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও নিরপেক্ষ পদে আসা নিয়ে উঠতে থাকে প্রশ্ন।
ইসফাক আহসান ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণার ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হয়ে পড়ে।
এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা ছিলেন। এ অবস্থায় একজন দলীয় রাজনীতিক কীভাবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটা থেকে বিসিবির মতো ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ সংস্থায় জায়গা পেলেন, তাও আবার আওয়ামী যুবলীগের নেতা হয়ে—তা নিয়েই শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।
সমালোচনার মাত্রা যখন চরমেপর্যায়ে পৌঁছে তখন মনোনয়ন ঘোষণার ৬ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই এনএসসি সিদ্ধান্ত নেয় তাকে বাদ দেওয়ার। এদিকে ইসফাক আহসানকে সরিয়ে দিয়ে বিসিবি পরিচালনা পর্ষদে এনএসসি’র মনোনীত নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে দেশের কর্পোরেট জগতের পরিচিত মুখ রুবাবা দৌলা মতিনকে।
তিনি গ্রামীণফোন ও এয়ারটেল বাংলাদেশে শীর্ষ পদে কাজ করেছেন এবং ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট। নারীদের ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০০৬ সালে অনন্যা শীর্ষ দশ নারী পুরস্কারেও ভূষিত হন।