মিরপুরের পিচ কেন এতো কালো! রহস্য কী?
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের শুরুতেই চোখ কপালে তুলেছেন অনেক ক্রিকেটভক্ত। আজ মাঠে বল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে দর্শক মহলে! এ আবার কেমন পিচ? এতটা কালো, এতটা ধীর, মিরপুরের চেনা রূপ কি তবে বদলে গেলো?
দর্শকদের জন্য এটি বিস্ময়ের কারণ, মিরপুরে এমন পিচ দেখা যায়নি কখনোই। ইতপূর্বে কালো পিচ দেখা গেলেও এতটা কালো ছিলো না কখনোই। সব কিছু মিলে এবারের পিচ যেন একটু বেশিই ‘স্পিনবান্ধব’, আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
আজকের ম্যাচের খেলা বিশ্লেষণ করলেই চোখে পড়ে, বল ব্যাটে আসছে অত্যন্ত ধীর গতিতে আবার বল ঘুরছেও দারুণ! এমন উইকেটে যেন সাধারণ মানের স্পিনারও হঠাৎ করে হয়ে যাচ্ছেন শেন ওয়ার্ন বা মুরালিধরনের ছায়া। অন্যদিকে ব্যাটারদের জন্য এই পিচ হয়ে উঠছে দুঃস্বপ্নের মতো—ব্যাট চালাতে গেলেই বল ব্যাটের কানায় লাগছে আর বুঝে খেলতে গেলেই বল ছিটকে যাচ্ছে অফস্টাম্পের বাইরে।
এমন উইকেটে রান করাটা কতটা কঠিন, সেটা উইন্ডিজের প্রথম ইনিংসেই স্পষ্ট। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামলে বাংলাদেশের জন্য যে আরও কত কঠিন সময় অপেক্ষা করছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, হঠাৎ করে এমন ‘কালো’ রূপ কেন মিরপুরের পিচের? ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে কৌশলী এক পরিকল্পনা। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যে লড়াই, তাতে প্রতিটি ওয়ানডে ম্যাচ টাইগারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হোম কন্ডিশনের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে তাই স্পিনবান্ধব, ব্যাটিং-বিরুদ্ধ উইকেট তৈরি করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলাই যেন মূল লক্ষ্য।
মিরপুরে এর আগেও কালো পিচ দেখা গেছে, তবে এবার পরিকল্পনাটা আরও সুসংগঠিত। উইকেট যেন ব্যাটারদের না, স্পিনারদের জন্য স্বর্গরাজ্য! অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, এই ধরনের উইকেট কি আদৌ বাংলাদেশের ব্যাটারদের প্রস্তুতির জন্য ভালো হবে? ঘরের মাঠে জিততে গিয়ে নিজেদের ব্যাটিং দুর্বলতাই কি আরও প্রকট হয়ে উঠবে সময়ের সাথে সাথে?
মিরপুরের এই ‘কালো রহস্য’ হয়তো জয়ের পথ সুগম করছে স্বাগতিকদের জন্য। তবে দীর্ঘ মেয়াদে এর প্রভাব কতটা ইতিবাচক, সেটা সময়ই বলে দেবে।





































