এবার বিপিএলে যুক্ত হওয়ার সুযোগ নোয়াখালীরও

বিপিএল বিতর্কমুক্ত করার লক্ষ্যে ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের (আইএমজি) সঙ্গে তিন বছরের চুক্তির কথা শোনা যাচ্ছিল গত জুন থেকেই। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত হয়নি তা। নির্বাচনের পর নতুনভাবে গঠিত বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল চাইছে স্বল্প সময়ের মধ্যে অন্তত পাঁচটি দল নিয়ে বিপিএল করতে। ২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া বিপিএলে কখনোই পাঁচ দলের টুর্নামেন্ট হয়নি।
আগামী পাঁচ মৌসুমে বিপিএলে দল পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে ঢাকা, বরিশাল, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট ও রংপুরের সামনে। নোয়াখালী বাদে বাকি সব অঞ্চলেরই কম-বেশি বিপিএলে দেখা গেছে। আর্থিক সক্ষমতা, সুনাম এবং লিগের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের সঙ্গে কৌশলগত সামঞ্জস্য বিবেচনায় সামনের মৌসুমে পাঁচটি দলল নির্বাচন করবে বিসিবি। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর দল পেতে দরপত্র আহবান করেছে বিসিবি।
আজ বিকেলে সভা শেষে মিরপুরে সাংবাদিকদের বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘আমরা ১০ অঞ্চলের নাম বলেছি, তবে এবার সময় কম। অন্তত পাঁচটা দল নিয়ে আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। বলছি আগের বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে যে সব সমস্যা হয়েছিল, এবার আমরা কঠোর থাকব। আর্থিক দিক ঠিক না থাকলে, কিংবা ম্যানেজমেন্ট দুর্বল হলে বড় গ্রুপকেও ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হবে না। আর্থিক আর ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট—দুটোই এবার কঠোরভাবে যাচাই করা হবে।’
আইএমজির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে মিঠু বলেন, ‘আইএমজির সঙ্গে আমাদের আলোচনা এগোচ্ছে, চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। কয়েক দিনের মধ্যেই সই হয়ে যাবে। শুধু এবার সময় স্বল্পতার কারণে তাদের কাজের পরিসর কিছুটা ছোট হবে। সাত মাসের কাজ এবার দুই মাসে করতে হবে। ছোট পরিসরে আয়োজন করা চ্যালেঞ্জ, কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি।’
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল আয়োজন করতে চায় বিসিবি। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারের বিপিএলে অন্তত একটি ভেন্যু বাড়ানো হবে। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ভাবনায় রেখে বিপিএল আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এখানে সরকারের অনুমতি আছে বলে জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য মিঠু।