জাতীয় দলের অধিনায়ক হচ্ছেন হামজা?

মাত্র পাঁচ মাস হলো জাতীয় দলের জার্সি গায়ে উঠেছে। অথচ মাঠে তার আচরণ, উপস্থিতি আর নেতৃত্বগুণ দেখে মনে হয়, তিনি যেন বহুদিনের অভিজ্ঞ এক নেতা। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে হামজা চৌধুরীকে নিয়ে। ভারতের বিপক্ষে অভিষেকেই নজর কাড়েন এই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা বাংলাদেশি মিডফিল্ডার। শুধু খেলায় নয়, পুরো ম্যাচজুড়ে সতীর্থদের পথ দেখানো, ভুল ধরিয়ে দেওয়া, প্রয়োজনে নিজের শরীর ঢাল হিসেবে ব্যবহার সবই যেন এক প্রকৃত নেতার কাজ।
এবার সেই হামজাকেই জাতীয় দলের অধিনায়ক করার প্রস্তাব দিলেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক অভিষেকে বাংলাদেশের জার্সিতে পথচলা শুরু হয় হামজার। এরপর থেকে মাঠে যেমন তাঁর পা চলে বলের পেছনে, তেমনি চোখ চলে পুরো দলের গতিবিধির ওপর। এ কারণে অনেকেই বলছেন, তিনি যেন “অঘোষিত অধিনায়ক”।
আর এখন সেই কথাই আনুষ্ঠানিকভাবে বললেন দেশের কিংবদন্তি ফুটবলার আমিনুল হক। জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধনে এসে আমিনুল বলেন, “হামজার মতো একজন ফুটবলার যদি অধিনায়কত্ব করে, তাহলে বাংলাদেশ দল অনেকটাই নির্ভার হবে। তার নেতৃত্বের গুণাগুণ রয়েছে। তিনি লেস্টার সিটিতে অধিনায়কত্ব করেছেন।”
২৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার এর আগেই ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে খেলে অভিজ্ঞতার ঝুলি পূর্ণ করেছেন। লেস্টার সিটির জার্সিতে মাঠ কাঁপানো হামজা শুধু পাস কিংবা ট্যাকলেই নয়, নেতৃত্বেও ছিলেন সেরা।
বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অধিনায়কত্ব নিয়ে বেশ অস্থিরতা। জামাল ভূঁইয়া নিয়মিত একাদশে না থাকায় কখনো তপু বর্মণ, কখনো সোহেল রানার হাতে উঠছে অধিনায়কের বাহুবন্ধনী। এই ঘন ঘন পরিবর্তন দলে তৈরি করছে অনিশ্চয়তা।
আমিনুল হকের মতে, “বারবার অধিনায়ক পরিবর্তনে কনফিউশন তৈরি হচ্ছে। হামজা অধিনায়ক হলে কেউ দ্বিমত করবে না। বরং খেলোয়াড়রাও আরও অনুপ্রাণিত হবে।” হামজার নেতৃত্বগুণ নিয়ে এখন কথা উঠেছে শুধু মিডিয়া বা বিশ্লেষক মহলে নয়, সাবেক অধিনায়কদের মুখেও। প্রশ্ন হচ্ছে, ফেডারেশন বা টিম ম্যানেজমেন্ট কি তাকে অধিনায়ক হিসেবে ভাবছে? এই মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না এলেও, আলোচনা যে এখন সিরিয়াস পর্যায়ে, তা স্পষ্ট।