পাকিস্তানের বিমান হামলায় ৩ আফগান ক্রিকেটার নিহত
পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যকার সংঘাতে যুদ্ধ বিরতি চলাকালেই আফগানিস্তানের সীমান্তে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশটির পাকতিকা প্রদেশের উরগুন জেলায় সীমান্তের ওপর থেকে হওয়া হামলায় স্থানীয় তিন ক্রিকেটারসহ অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৭ জন।
সরাসরি পাকিস্তানের নাম না নিলেও ক্রিকেটারদের ওপর ভয়াবহ এ হামলার দায় পাকিস্তানকেই দিচ্ছে আফগানিস্তান। অবশ্য ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানই এ বিমান হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে আফগানিস্তান।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, নভেম্বরে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ছিল আফগানিস্তানের। সেখানে শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক পাকিস্তানের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার কথা ছিল রাশিদ খানদের। কিন্তু সন্ত্রাসী হামলায় স্থানীয় ক্রিকেটারদের মৃত্যুর ঘটনায় ওই সিরিজ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।
এক বিবৃতিতে এসিবি উল্লেখ করেছে, ‘এই মর্মান্তিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় এবং নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অংশ হিসাবে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।’
ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিহতরা পাকতিকা প্রদেশের রাজধানী শারানায় একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন। সেই ম্যাচ খেলে ফেরার পথে হামলার শিকার হন তারা।
তাঁদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে আফগান জাতীয় দলের ক্রিকেটার ফজল হক ফারুকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নিরপরাধ বেসামরিক ও আমাদের ক্রিকেটারদের ওপর নিপীড়কদের এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ একটি জঘন্য ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।’
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক নানা ঘটনাবলিতে দুই দেশের সম্পর্কের যে অবনতি ঘটছে, তাতে ভবিষ্যতে আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা হাত মেলাবেন কিনা, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, নভেম্বরের সিরিজটি হতো আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যেকার দ্বিতীয় ত্রিদেশীয় সিরিজ। এর আগে আগস্টে এশিয়া কাপ শুরুর আগে একটি সিরিজ খেলেছিল।





































