রোববার , ১০ আগস্ট ২০২৫
Sunday , 10 August 2025
১৫ সফর ১৪৪৭

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ১২ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ২২:৪৮, ১২ জুলাই ২০২৫

ব্যবসায়ীকে মারধর: যুবদল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

ব্যবসায়ীকে মারধর: যুবদল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

ফেনীর পরশুরাম উপজেলার উত্তর বাজার এলাকায় পাওনা টাকা চাওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে বেদড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত ওই ব্যবসায়ী বর্তমানে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আহত ব্যবসায়ীর নাম সুমন হোসেন। তিনি পরশুরাম উত্তর বাজারের একজন সুপরিচিত ব্যবসায়ী এবং দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। অভিযোগে বলা হয়, দক্ষিণ কোলাপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মো. ছায়েম এর কাছে পূর্বের বাকি বকেয়া টাকা চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। পরে তাঁর নেতৃত্বে একদল লোক সুমনের ওপর হামলা চালায়।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সুমন বাজারে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ছায়েম এবং তাঁর সঙ্গে থাকা ৪ থেকে ৫ জন ব্যক্তি সুমনের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাঁরা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে সুমনকে বেধড়ক মারধর করেন। মারধরের সময় সুমনের মাথা, ঘাড়, হাত ও পিঠে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, আহতের শরীরে একাধিক জায়গায় গভীর আঘাত রয়েছে। মাথায় সেলাই করতে হয়েছে। তবে শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

আহত সুমন বলেন, আমি কেবল আমার পাওনা টাকা ফেরত চেয়েছিলাম। এর জন্য আমাকে এভাবে মেরে হাসপাতালে পাঠাবে, তা কখনো ভাবিনি। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।

এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক ব্যবসায়ী এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। পরশুরাম বাজার ব্যবসায়ী সমিতির এক নেতা বলেন, ব্যবসায়ী সমাজ আজ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ধরনের ঘটনা কখনোই কাম্য নয়।

অভিযুক্ত মো. ছায়েমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, আমরা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুবদল সভাপতির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে স্থানীয় রাজনীতিতেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এভাবে কাউকে মারধর করাটা প্রমাণ করে যে, অনেকেই ক্ষমতা পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠছেন।

এই ঘটনায় স্থানীয় যুবদল শাখার পক্ষ থেকেও এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়