রংপুরে অ্যানথ্রাক্সে অর্ধশত মানুষ আক্রান্ত, মারা গেছে দুই শতাধিক গরু
রংপুরে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্কে গ্রামীণ জনপদ। গত দুই মাসে মারা গেছে দুই শতাধিক গরু, আক্রান্ত হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ। পীরগাছা, মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে পশুবাহিত এই সংক্রামক রোগ। অসুস্থ গরু জবাই ও মাংস খাওয়ার অসচেতনতাই মূলত অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে পড়ার কারণ বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, এখন পর্যন্ত ১১ জনের দেহে অ্যানথ্রাক্স নিশ্চিত হয়েছে। তবে বাস্তব চিত্র আরও ভয়াবহ। পীরগাছা ও মিঠাপুকুরে অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ উপসর্গে ভুগছেন। এদিকে আক্রান্তদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ও পশুর টিকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে।
পীরগাছায় অসুস্থ গরু জবাইয়ের পর মাংস কাটাকাটি করতে গিয়ে কৃষক আব্দুর রাজ্জাক ও গৃহবধূ কমলা বেগম অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাদের সংস্পর্শে আসা আরও কয়েকজনও অসুস্থ হয়েছেন। প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কেবল পীরগাছাতেই দেড় লাখের বেশি পশু সংক্রমিত হয়েছে। প্রতিদিনই নতুন গবাদিপশু মারা যাচ্ছে।
এ অবস্থায় তিন উপজেলায় মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। পীরগাছা, মিঠাপুকুর ও কাউনিয়ায় ৮০ হাজার টিকার চাহিদার বিপরীতে মাত্র ২০ হাজার টিকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ফলে টিকা সংকটে পশুদের সুরক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু ছাইদ বলেন, “আগস্ট থেকেই টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে জনগণকে সচেতন না করলে নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে।”
সিভিল সার্জন শাহিন সুলতানা জানান, “অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত গরু জবাই না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা ও অ্যান্টিবায়োটিক সরবরাহ অব্যাহত আছে।”





































