বুধবার , ১৩ আগস্ট ২০২৫
Wednesday , 13 August 2025
১৮ সফর ১৪৪৭

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:৫১, ১২ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১৭:৫৪, ১২ আগস্ট ২০২৫

হৃদরোগ হাসপাতালে অননুমোদিত মেশিন স্থাপন, উঠছে অনিয়মের অভিযোগ

হৃদরোগ হাসপাতালে অননুমোদিত মেশিন স্থাপন, উঠছে অনিয়মের অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই অননুমোদিত মেশিন স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্পষ্ট নির্দেশনা অমান্য করে গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যার পর প্যাথলজি বিভাগে দুটি নতুন মেশিন প্রতিস্থাপন করা হয়। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট মেশিনগুলো দান করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। যদিও স্পেন থেকে আনা তিনটি আধুনিক যন্ত্র দীর্ঘদিন বাক্সবন্দি অবস্থায় পড়ে আছে—এর মধ্যে একটি মেশিন চায়ের টেবিল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ওই যন্ত্রগুলো ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরিবর্তে অননুমোদিত চীনা বায়ো-কেমিস্ট্রি অ্যানালাইজার ও ইমিউনো-কেমিস্ট্রি অ্যানালাইজার স্থাপন করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্তে উঠে এসেছে, এসব দানের মেশিনে রয়েছে আর্থিক স্বার্থ। যন্ত্র বসানোর পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো রিএজেন্ট সরবরাহ করে বিপুল অঙ্কের মুনাফা করে। এজন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক বা কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ কিংবা নগদ অর্থ দিয়ে ‘ম্যানেজ’ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, প্যাথলজি বিভাগের প্রধান ও কার্ডিওলজির মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল মুয়ীদ খান সম্প্রতি থাইল্যান্ড সফর করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সহায়তায়।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত ১৫ জুলাই পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং তদন্ত চলাকালে কোনো অননুমোদিত মেশিন স্থাপন না করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করেই ৭ আগস্ট গোপনে মেশিন দুটি আনা হয় ও ৯-১০ আগস্ট প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়।

ঘটনার বিষয়ে ল্যাব ইনচার্জ গণেশ চন্দ্র তরফদার জানান, চাবি দিতে আসার সময় ডা. মুয়ীদ খানের উপস্থিতিতেই মেশিন আনা হয়। তবে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী দাবি করেছেন, তিনি ব্যস্ততার কারণে এ বিষয়ে অবগত নন। সহকারী পরিচালক ডা. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অনুমতি ছাড়াই মেশিন স্থাপন অনিয়ম, এবং তিনি বিষয়টি পরিচালককে অবহিত করবেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. এ এইচ এম মইনুল আহসান নিশ্চিত করেছেন যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেছে এবং মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, “বিষয়টি আমরা কঠোরভাবে মনিটরিং করছি। অনিয়মে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়