জাতিসংঘ অফিস বিরোধিতা নিয়ে ইসলামী যুব মজলিসের গোলটেবিল বৈঠক

ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় স্থাপনকে বাংলাদেশের জন্য স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর পল্টন কালভার্ট রোডের মজলিস মিলনায়তনে ইসলামী যুব মজলিস আয়োজিত ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অফিস স্থাপন: হুমকি ও বাস্তবতা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র প্রায় ২০০টি। এর মধ্যে মাত্র ১৬টি দেশে মানবাধিকার কমিশনের অফিস রয়েছে-যাদের প্রত্যেকেই অস্থিতিশীল দেশ। এই অফিস থাকা সত্ত্বেও সিরিয়া ও ফিলিস্তিনে গণহত্যা রোধে জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চালানো হলেও সেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপন করা হয়নি। অথচ বাংলাদেশে, যেখানে তুলনামূলক স্থিতিশীলতা বিদ্যমান, সেখানে এমন অফিস স্থাপন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ড. কাদের অভিযোগ করেন, জাতিসংঘের এই কমিশন নির্দিষ্ট গোষ্ঠী ও দেশের স্বার্থে কাজ করে। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে কমিশনের ভূমিকা একপাক্ষিক বলেই দাবি তার।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘন হলেও সেখানেও তারা অফিস স্থাপন করতে পারেনি। তাহলে বাংলাদেশে কেন?
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি তাওহীদ ইসলাম তুহিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন সাদী, ছাত্র মজলিস সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান আলী, অ্যাডভোকেট মো. শায়খুল ইসলাম এবং আসাদ পারভেজ।
বক্তারা অবিলম্বে জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের দাবি জানান এবং সরকারকে জাতীয় স্বার্থে অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানান।