ভারতীয় পেঁয়াজে প্রভাবিত হিলির খুচরা বাজার

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাস পর ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় খুচরা বাজারে। দেশি পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে এবং ভারতীয় পেঁয়াজ তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। সেদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিনটি ট্রাকে মোট ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করে। স্থানীয় আমদানিকারকেরা জানান, ভারত থেকে নিয়মিত পেঁয়াজ আসতে থাকলে বাজারে এ খাদ্যপণ্যটির দাম আরও কমবে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় হিলি বন্দর বাজারে দেখা যায়, ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি দরে এবং খুচরা বাজারে ৫০ টাকা দরে। অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা কমে পাইকারিতে ৬২ টাকা ও খুচরায় ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুল খালেক বলেন, “কিছুদিন আগেও দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল। এখন ভারতীয় পেঁয়াজ আসায় দাম কমে দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।”
সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ জানান, “দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে ৬২ টাকা কেজিতে কিনে ৬৫ টাকায় বিক্রি করছি। আর ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারিতে ৪৮ টাকায় কিনে ৫০ টাকায় খুচরায় বিক্রি করা হচ্ছে।”
হিলির পাইকারি ব্যবসায়ী শাহাবুল ইসলাম বলেন, “দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় সরকার আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে দেশি পেঁয়াজের দামও কমতে শুরু করেছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমবে।”
সর্বশেষ গত ২ মার্চ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। পরে দেশি পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। তবে বাজারে পেঁয়াজের দাম ফের বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমতিতে পাঁচ আমদানিকারককে ১৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে রবিবার তিনটি ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।