বুধবার , ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Wednesday , 03 September 2025
০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ডেস্ক নিউজ

প্রকাশিত: ২০:৫৭, ৩০ আগস্ট ২০২৫

জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভাঙচুর হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিক্ষিপ্ত একদল ব্যক্তি পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিজয়নগরের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রথমে ভাঙচুর চালায়। এরপর নিচতলার একটি কক্ষের শাটার ভাঙচুর করে ভেতরে ঢুকে অগ্নিসংযোগ করে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জাতীয় পার্টির অফিসের নিচতলার একটি কক্ষের ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লিফলেট থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভেতরে অন্ধকার। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কার্যালয়ের সামনে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের নামফলক ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আজকের দুপুরের পর থেকে অধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর আহত হওয়ার ঘটনায় কাকরাইল পানির ট্যাংকি ও বিজয়নগর এলাকায় ফুলিয়া মিছিল করেছে দলটি। এ সময় তারা কাকরাইল-পল্টন সড়কটি বন্ধ করে দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা সড়কে যানচলাচল বন্ধ ছিল। বিকেলে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা কয়েকবার জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের দিকে আসতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিক্ষুব্ধ কয়েকজন নেতা-কর্মী পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে জাতীয় পার্টির কার্যালয় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে একটি শাটার আর ভেঙে তারা ভেতরে প্রবেশ করে অগ্নিসংযোগ করে। এরপর পুলিশ জলকামান দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এর আগে জাতীয় পার্টির কার্যালয় থেকে নেতা-কর্মীরা বের হয়ে যান।

ঘটনা সম্পর্কে জাতীয় পার্টির ঢাকা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক লাইজুল ইসলাম বলেন, ‘যারা দেশব্যাপী মব সৃষ্টি করে, তারাই আজকে জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা চালিয়েছে। এই হামলাকারীদের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীর রয়েছে কিনা জানি না, তবে তাদের আমরা স্লোগান দিতে দেখেছি।

জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, ‘শনিবার এই কার্যালয়ে ময়মনসিংহ জেলার প্রতিনিধিদের সম্মেলন ছিল। সম্মেলনের দলটির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটওয়ারী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর ঢাকা জেলার নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তবে বিকেলে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং ইসলামি আন্দোলনের বিক্ষোভের পর সন্ধ্যার দিকে পুলিশ কার্যালয় থেকে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের বের করে দেন। এরপরই কার্যালয়টিতে হামলার ঘটনা ঘটে।

তবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, জাতীয় পার্টির কার্যালয় এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও জায়গাটি ছেড়ে দিয়েছেন। গণঅধিকার পরিষদ এবং ইসলামি আন্দোলনের নেতা-কর্মীরাও বিক্ষোভ সমাবেশ করে চলে গেছে। বর্তমানে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা অফিসটির সামনে অবস্থান করছেন।

এর আগে, গত বছরের আগস্টে ও নভেম্বরে একই কার্যালয় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়