বৃহস্পতিবার , ০৭ আগস্ট ২০২৫
Thursday , 07 August 2025
১২ সফর ১৪৪৭

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:০০, ৬ জুলাই ২০২৫

কুয়েতের ভিসা বাণিজ্যে লাগামহীন চাঁদাবাজি

কুয়েতের ভিসা বাণিজ্যে লাগামহীন চাঁদাবাজি
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত এক সময় স্বপ্নের গন্তব্য। জীবনের নতুন সুযোগের আশায় হাজারো মানুষ পাড়ি জমায় এই দেশে। কিন্তু এই স্বপ্নপূরণের পথ এখন হয়ে উঠেছে ভয়াবহ ব্যয়বহুল। প্রকৃতপক্ষে কুয়েতের শ্রমিক ভিসা যেখানে খরচ হওয়ার কথা মাত্র আড়াই হাজার টাকা, সেখানে দালালদের হাত ঘুরে তা আট লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

চাঁদপুরের দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারী এবং কুমিল্লার ইকবাল হোসেন জানান, তাদের কুয়েত যেতে যথাক্রমে প্রায় সাত লাখ এবং সাড়ে ছয় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। অথচ কুয়েতে ভিসা প্রসেসিংয়ে খরচ মাত্র ছয় কুয়েতি দিনার, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় আড়াই হাজার টাকা।

কুয়েত প্রবাসী সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট আব্দুস সালেহ জানান, “ভিসার আসল খরচ মাত্র ছয় দিনার, কিন্তু দালালদের হাত বদল হয়ে এটি দুই হাজার দিনারে গিয়ে ঠেকে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় আট লাখ টাকা।”

মূলত ২০০৭ সালে কুয়েত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করার পর থেকেই দালালরা ভিসা নিয়ে কারসাজি শুরু করে। ভিসা পাওয়া কঠিন- এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।

বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব কুয়েতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হেবজু মিয়া বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশিদের কুয়েত যাওয়া অনেক বেশি ব্যয়বহুল। এর প্রধান কারণ বাংলাদেশি দালালদের একটি শক্তিশালী চক্র।”

বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) মোহাম্মদ আবুল হোসেন জানান, “প্রতিদিন প্রায় ৪৫০টি ভিসা সত্যায়নের আবেদন পাচ্ছি। বর্তমানে দক্ষ কর্মীর ভিসার চাহিদা বাড়ছে। আমরা চাই, কোনো বাংলাদেশি যেন কুয়েতে এসে সমস্যায় না পড়ে, সেজন্য নিয়মিত তদারকি করছি।”

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ জেড এম নুরুল হক বলেন, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া অনিয়ম। দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়