মার্কিন ভিসা খরচের আড়াই গুণ বৃদ্ধি, বৈধ অভিবাসনে নতুন বাধা?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পর্যটন, শিক্ষার্থী বা কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ভিসা নিতে এখন গুনতে হবে প্রায় দ্বিগুণ খরচ। গত ৪ জুলাই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’-এ স্বাক্ষর করেছেন, যার আওতায় ২০২৬ সাল থেকে অধিকাংশ নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় যুক্ত হচ্ছে নতুন ‘ভিসা ইন্টেগ্রিটি ফি’।
এই ফি হিসেবে ভিসা আবেদনকারীদের গুণতে হবে ২৫০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। ফি’টি অফেরতযোগ্য সারচার্জ হিসেবে সংযোজিত হলেও কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলে সেটি ফেরত পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটন বা ব্যবসায়িক ভিসা (বি১/বি২) পেতে ১৮৫ ডলার খরচ হয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভিসা ইন্টেগ্রিটি ফি, আই-৯৪ ফি (২৪ ডলার), ইএসটিএ ফি (১৩ ডলার) সহ মিলিয়ে মোট খরচ দাঁড়াবে প্রায় ৪৭২ ডলার বা ৫৬ হাজার ৬৪০ টাকা, যা বর্তমান ফি’র তুলনায় আড়াই গুণ বেশি।
নতুন আইন অনুসারে, পর্যটক, শিক্ষার্থী, প্রযুক্তি পেশাজীবী, ব্যবসায়ী ও এক্সচেঞ্জ ভিজিটররা (এফ,এফ,এইচ-১বি,জে ক্যাটাগরি) সবাই এই ফি’র আওতায় পড়বেন। কেবলমাত্রে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরির কূটনৈতিক ভিসাধারীরা এই ফি থেকে অব্যাহতি পাবেন।
এই ফি সম্পূর্ণ অফেরতযোগ্য হলেও, কিছু শর্তে রিফান্ডযোগ্য হতে পারে। যেমন-ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ৫ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করলে। বৈধভাবে স্ট্যাটাস পরিবর্তন করলে (যেমন গ্রিন কার্ডে রূপান্তর) বা থাকার সময়সীমা আইনগতভাবে বাড়ালে, তাহলে এই ফি ফেরত পাওয়া যাবে। ভিসার মেয়াদ লঙ্ঘন করলে বা নিয়ম না মানলে রিফান্ড প্রযোজ্য হবে না।
এই বিলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসীদের রেমিট্যান্সের ওপর ১ শতাংশ আবগারি শুল্ক আরোপ। এর ফলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে টাকা পাঠাতে গিয়ে অতিরিক্ত খরচের মুখে পড়বেন।
মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির অধীনে পরিচালিত এই নতুন নীতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি নিরাপত্তা আমানত হিসেবে কাজ করবে এবং আইন মেনে চলতে বিদেশিদের বাধ্য করবে।
নির্ধারিত ভিসা মেয়াদ শেষে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ না করলে কড়া নজরদারির পাশাপাশি ফি ফেরতের সুযোগ বাতিল করা হবে। প্রতিবছর ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) অনুসারে এই ফি’র পরিমাণ সমন্বয় করা হবে।