মঙ্গলবার , ০৫ আগস্ট ২০২৫
Tuesday , 05 August 2025
১০ সফর ১৪৪৭

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:৪৫, ৪ আগস্ট ২০২৫

ভোটের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে, তফসিল ঘোষণার অপেক্ষায় নির্বাচন কমিশন

ভোটের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে, তফসিল ঘোষণার অপেক্ষায় নির্বাচন কমিশন
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে প্রস্তুতির ব্যস্ততা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, তাদের অধিকাংশ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে এবং ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত তারিখ দ্রুতই ঘোষণা করা হবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যেই ছবিসহ হালনাগাদ ভোটার তালিকা, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের জন্য নীতিমালা প্রণয়নসহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগস্ট মাসের মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের কাজ শেষ হবে এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটের প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় কমিশন।

সারা দেশের ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যা ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তির জন্য খোলা থাকবে। এ তালিকা ইসির ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি, ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার নতুন ভোটারকে অন্তর্ভুক্ত করে খসড়া ভোটার তালিকা ১০ আগস্ট প্রকাশ করা হবে এবং চূড়ান্ত তালিকা আসবে ৩১ আগস্ট।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, "ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। পক্ষপাতদুষ্ট বা অতীতে বিতর্কিত বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমতি দেওয়া হবে না।" তিনি জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অভিজ্ঞ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য সংস্থাদেরকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে।

ইসি নির্বাচন উপলক্ষে সাংবাদিকদের জন্য ‘গণমাধ্যম নীতিমালা-২০২৫’ ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য ‘পর্যবেক্ষণ নীতিমালা-২০২৫’ প্রণয়ন করেছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি বসাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে কমিশন। ৩ আগস্টের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জানাতে বলা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, "সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। তফসিল ঘোষণার পর যেসব কাজ বাকি থাকে সেগুলো শেষ করতে কমিশনের যথেষ্ট সময় থাকবে। আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় সরকার এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি।"

ইসির পরিকল্পনায় রয়েছে ভোটের দিন বৃহস্পতিবার রেখে ভোটের পরের দুদিন ছুটি দেওয়ার, যাতে ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ে।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়