স্বৈরতন্ত্র থেকে সংস্কারের অঙ্গীকার: কী বার্তা আনছে জুলাই ঘোষণাপত্র?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল আলোচিত ও প্রতীক্ষিত "জুলাই ঘোষণাপত্র" আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় পাঠ করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ঘোষণাপত্র পাঠের এই আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্য এবং আহত যোদ্ধারা। বাংলাদেশ টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস" উপলক্ষে এই আয়োজনে দিনভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হবে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। অংশ নিতে দেশের সব বয়সী মানুষকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রায় পাঁচ মাস পর ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের দাবিতে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোগ নেয় এই ঘোষণাপত্র তৈরির।
ঘোষণাপত্রের খসড়া অনুযায়ী, এতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, একদলীয় শাসনের (বাকশাল), সিপাহি-জনতার বিপ্লব, আশির দশকের স্বৈরতন্ত্রবিরোধী আন্দোলন, ৯০-এর গণঅভ্যুত্থান, ওয়ান ইলেভেনের প্রেক্ষাপট, এবং বর্তমান রাজনৈতিক সংকট বিশ্লেষণ করে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া গুম, খুন, দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার ইত্যাদির বিচারের কথা থাকছে ঘোষণাপত্রে।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, এই ঘোষণাপত্র শুধু রাজনৈতিক দলিল নয়, বরং জুলাই অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক ভিত্তি ও প্রেক্ষাপটের দালিলিক স্বীকৃতি।
এখন গোটা দেশের নজর ৫টার দিকে। জাতির সামনে কী বার্তা আনবেন অধ্যাপক ইউনূস, কী থাকবে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে-তা জানতে উদগ্রীব দেশবাসী।