সরকারি বিশেষ ট্রেনের মান পছন্দ না হওয়ায় রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ঢাকায় আয়োজিত ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজশাহী থেকে বরাদ্দ পাওয়া বিশেষ ট্রেনের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে তারা রাজশাহী রেলস্টেশনে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে সিল্কসিটি এক্সপ্রেসসহ অন্যান্য ট্রেনের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সরকারি বরাদ্দের বিশেষ ট্রেনটি অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল। ট্রেনটি দেখে তাদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয় এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে রেললাইন অবরোধে বসেন। পরে বিকল্প কোনো ট্রেন না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে সেই ট্রেনেই ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মো. শহিদুল আলম বলেন, “সরকার যে ট্রেন বরাদ্দ দিয়েছে, আমরা সেটিই দিয়েছি। এটি নন-এসি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ফলে তারা ট্রেন আটকে দেন এবং অবরোধে বসেন। নির্ধারিত সময় সকাল ৭টা ২০ মিনিটের পরিবর্তে ট্রেনটি ৮টা ১৩ মিনিটে ছাড়ে।”
তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটিও ৪৫ মিনিট বিলম্বে সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে যায়। বিশেষ ট্রেনে প্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্থী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং আরও ৩৫-৪০ জন শিক্ষার্থীকে পরবর্তীতে সিল্কসিটি ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সূত্র জানায়, ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র কেন্দ্রিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-জনতাকে ঢাকায় আনতে ও ফেরত পাঠাতে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব ট্রেনের জন্য প্রায় ৩০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পরিশোধ করা হবে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী এসব বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করছে। রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহী থেকে ভোরবেলায় ট্রেন ছাড়লেও গাজীপুর, নরসিংদী ও ফরিদপুর থেকে ট্রেনগুলো দুপুরের আগে ছাড়বে। অনুষ্ঠান শেষে দূরবর্তী জেলার ট্রেনগুলো আগে ছেড়ে যাবে এবং এরপর পর্যায়ক্রমে কাছাকাছি জেলার ট্রেনগুলো।