জুলাই গণঅভ্যুত্থান: মানবতাবিরোধী অপরাধে চার মামলার বিচার এ বছর শে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে চারটি মামলার অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে তিনটি মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচারকাজ শুরু হয়েছে এবং একটি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণও শুরু হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর কার্যালয় আশা করছে, চলতি বছরের মধ্যেই এই চারটি মামলার বিচার শেষ হতে পারে।
চারটি মামলার একটি হলো গণঅভ্যুত্থান চলাকালে পরিকল্পিতভাবে ড্রোন, হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের পদ্ধতিগতভাবে নির্মূল করার অভিযোগ। মামলাটি ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি’ বা ঊর্ধ্বতন নির্দেশে দায়বদ্ধতার মামলা হিসেবে পরিচিত। এতে আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে। এর মধ্যে আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, অন্য দুই আসামি পলাতক।
অন্য তিনটি মামলার মধ্যে রয়েছে- রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা, ঢাকার চানখাঁরপুলে ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা, আশুলিয়ায় মৃতপ্রায় একজন ও পাঁচজনের লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা
চার মামলায় মোট আসামি ৫৭ জন। এর মধ্যে পলাতক ৪১ জন এবং কারাগারে ১৬ জন। প্রসিকিউটর কার্যালয় বলছে, এই ১৬ জনসহ পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারও এ বছরের মধ্যে শেষ হতে পারে। তবে মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে ভুক্তভোগী ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ রয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠনের পর প্রথম মামলাটি হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, যা ছিল ‘মিস কেস’ বা বিবিধ মামলা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা চলছে-একটি আওয়ামী লীগ শাসনামলে সাড়ে ১৫ বছরে গুম-খুনের অভিযোগে এবং আরেকটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।
ট্রাইব্যুনাল বলছে, জাজ্বল্যমান এসব অপরাধের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।