শনিবার , ০৯ আগস্ট ২০২৫
Saturday , 09 August 2025
১৩ সফর ১৪৪৭

প্রবাসন প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:২৮, ৮ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ২২:২৯, ৮ আগস্ট ২০২৫

ইলিশের মৌসুমেও সরবরাহ কম, দাম আকাশছোঁয়া

ইলিশের মৌসুমেও সরবরাহ কম, দাম আকাশছোঁয়া

জুন থেকে অক্টোবর- এ সময়টাকেই ধরা হয় ইলিশের মৌসুম। তবে এবারের মৌসুম শুরু হলেও বাজারে অধরাই রয়ে গেছে রুপালি ইলিশ। সীমিত সরবরাহ আর চড়া দামে ক্রেতারা হতাশ, বিক্রেতারাও অস্বস্তিতে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, বিগত যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেশি, যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। সরকারি দপ্তরও বলছে, নদীতে মাছের স্বল্পতা, চাঁদাবাজি, এবং ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ইলিশের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না।

ঢাকার খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে জানা গেছে- ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মিলছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায়, যা গত বছর পাওয়া যেত প্রায় ১ হাজার টাকায়। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার  থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা দরে। ভরা মৌসুমে গত বছর কেজি প্রতি ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকার ইলিশ এবার বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। দামের ভিন্নতাও চোখে পড়ার মতো- শুক্রবার রামপুরা ও গুলশান বাজারে একই ওজনের ইলিশের দামের পার্থক্য ছিল প্রতি কেজিতে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।

গুলশান ২ নম্বর বাজারে ক্রেতা মুজাহিদ বলেন, ছেলে-মেয়ে ইলিশ খেতে চায়। কিন্তু সামর্থ্যের বাইরে বলে কিনতে পারিনি। দাম কমলে তবেই কিনবো।

ইলিশ বিক্রেতা জুবায়ের আলী জানান, নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে কম, সরবরাহও সীমিত। বরিশাল ও চাঁদপুরে গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে, ফলে বাজারেও দাম বেশি। এতে ক্রেতা যেমন কমেছে, ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে।

এ অবস্থায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ইলিশ আমদানির আবেদন জানিয়েছে। গত ২৯ জুলাই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে পাঠানো চিঠিতে তারা সেপ্টেম্বরের দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইলিশ আমদানির অনুমতি চেয়েছে। চিঠিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, যেখানে বিষয়টি এখনো পর্যালোচনায় রয়েছে।


 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়