আড়ংকে কাগজের শপিং ব্যাগের মূল্য নেওয়া বন্ধে আইনি নোটিশ

কিছুদিন ধরে ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ং পন্যের সঙ্গে ব্যাগ নিয়ে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। তারা বলে, ব্যাগ নিতে চাইলে মূল্য দিতে হবে অন্যথা বাড়ি থেকে ব্যাগ আনতে হতে। এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিশাত ফারজানা আড়ংকে কাগজের শপিং ব্যাগের বিপরীতে মূল্য নেওয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়ে আইনি নোটিশ পাঠান। এই আইনি নোটিশ সামাজিক যোগাযোম মাধ্যমে ঝড় তুলেছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আড়ং করপোরেট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মগবাজার আউটলেটের স্টোর ম্যানেজারের কাছে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, ১০ দিনের মধ্যে শপিং ব্যাগের জন্য আলাদা মূল্য নেওয়া বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় তিনি ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী আদালত ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হবেন।
নোটিশে নিশাত ফারজানা উল্লেখ করেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি আড়ংয়ের মগবাজার আউটলেটে কেনাকাটা করতে গিয়ে জানতে পারেন, পণ্যের সঙ্গে কোনো ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে না। বরং গ্রাহকদের কাগজের ব্যাগ কিনে নিতে হচ্ছে। আগে যে ব্যাগ ফ্রিতে পাওয়া যেত, এখন সেটি অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আড়ংয়ের পক্ষ থেকে একটি লিফলেটে বলা হয়েছে, শপিং ব্যাগ বিক্রির আয় স্থানীয় গাছ লাগানোর প্রকল্পে ব্যয় করা হবে। তবে নোটিশে এটিকে ‘হীন মানসিকতার বিজ্ঞাপন’ ও ‘অসাধু ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
আইনজীবীর দাবি, পরিবেশ রক্ষায় উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও তা করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) তহবিল থেকে হওয়া উচিত, গ্রাহকের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে নয়।
নোটিশে আরও বলা হয়, আড়ংয়ের ব্যাগগুলো নিম্নমানের এবং একটির বেশি পণ্য বহনে অযোগ্য। ফলে একাধিক পণ্য কিনলে গ্রাহককে বাধ্য হয়ে একাধিক ব্যাগ কিনতে হচ্ছে। এতে সাধারণ আয়ের মানুষের ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে।
নিশাত ফারজানা বলেন, এটি সরাসরি গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা। আড়ংয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছে এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। যদি তারা পদক্ষেপ না নেয়, আমি ভোক্তা অধিকার আইনের আশ্রয় নেব।