ক্ষুধায় লাশ হয়ে যাচ্ছে শিশু—গাজায় একদিনেই ১৫ জনের মৃত্যু

গাজার ধ্বংসস্তূপে যখন প্রতিটি ইটের নিচে লুকিয়ে আছে কান্না, তখন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে এক নতুন শত্রু—ক্ষুধা। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) একদিনেই অনাহারে মারা গেছেন ১৫ জন। এদের মধ্যে রয়েছে চারটি নিষ্পাপ শিশু। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে হৃদয়বিদারক এই তথ্য।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অপুষ্টিজনিত কারণে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০১ জন। যার মধ্যে ৮০ জনই শিশু। জাতিসংঘের ভাষায়, এটি "সাম্প্রতিক সময়ের মৃত্যু ও ধ্বংসের এক ভয়াবহ প্রদর্শনী"।
সবশেষ অনাহারে মৃত্যুর শিকার শিশুদের একজন মাত্র ছয় সপ্তাহের ইউসুফ আল-সাফাদি। উত্তর গাজার এক হাসপাতালে নিঃশ্বাস হারায় সে। তার চাচা আদহাম আল-সাফাদি বলেন, “শিশুটির মা খেতে না পারায় বুকের দুধও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। খাবার নেই, পানি নেই, দুধও নেই। তাই শিশুটি মারা গেছে।”
১৩ বছর বয়সী আব্দুলহামিদ আল-গালবানও মারা গেছে দক্ষিণ খান ইউনিসের এক চিকিৎসাকেন্দ্রে। এভাবে প্রতিদিন একেকটি নাম পরিণত হচ্ছে শুধুই সংখ্যায়।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ৮১ জন নিহত হয়েছে। ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে গাজায় মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে, আহত লাখ ছাড়িয়েছে বহু আগেই।
গাজার ২০ লাখের বেশি মানুষের জন্য খাদ্য, ওষুধ, পানি—সবই এখন বিলাসিতা।