সোমবার , ০৪ আগস্ট ২০২৫
Monday , 04 August 2025
০৮ সফর ১৪৪৭

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:০৪, ৩ আগস্ট ২০২৫

জাতিসংঘের অনেক রিপোর্ট কেউ পড়ে না, জাতিসংঘের মহাসচিব

জাতিসংঘের অনেক রিপোর্ট কেউ পড়ে না, জাতিসংঘের মহাসচিব

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সংষ্কারমূলক এক প্রতিবেদন অনুসারে জানা যায়, গত বছর জাতিসংঘে ২৭ হাজার সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যাতে অংশ নেয় ২৪০টি সংস্থা ও কমিটি। এ সময়ে ১ হাজার ১০০টি রিপোর্ট তৈরি করা হয়, যা ১৯৯০ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। 

জাতিসংঘ বছরে ১ হাজারের বেশি রিপোর্ট প্রকাশ করে। কিন্তু এর বেশিরভাগই পাঠকের অভাবে অব্যবহৃত থাকে- এমন বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ নিজেই। সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ সংস্কারমূলক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য, যা জাতিসংঘের দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক ভার ও অকার্যকর ব্যয় ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরেছে, তথ্য খবর রয়টার্সের।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রকে বিষয়টি জানিয়ে বলেন, প্রতিবছর তৈরি হওয়া বিপুল সংখ্যক রিপোর্ট ও সভার চাপে জাতিসংঘের কার্যক্রম কার্যত ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, গত বছর জাতিসংঘে ২৭ হাজার বৈঠক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে ১ হাজার ১০০টি। এই বিপুল পরিমাণ সভা ও প্রতিবেদন আমাদের সবাইকে এক প্রকার চূড়ান্ত ক্লান্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

গুতেরেস আরো বলেন, এসব প্রতিবেদনের বেশিরভাগই খুব একটা পড়া হয় না। মাত্র পাঁচ শতাংশ প্রতিবেদন ৫ হাজার ৫০০ বারের বেশি ডাউনলোড হয়। আবার প্রতি পাঁচটির একটির ডাউনলোড সংখ্যা এক হাজারের নিচে। আর ডাউনলোড মানেই যে কেউ তা পড়ছে, সেটাও নয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদের মতো শীর্ষ সংস্থাগুলো থেকে যে হাজার হাজার নির্দেশনা বা ‘ম্যান্ডেট’ আসে, তা বাস্তবায়নের জন্য প্রতিবছর প্রচুর সভা ও প্রতিবেদন তৈরি করতে হয়, যা সংস্থাটির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে।  এছাড়া, জাতিসংঘ এ বছরও তীব্র অর্থসংকটে রয়েছে-গত সাত বছর ধরে এই সমস্যা চলছে। সদস্য ১৯৩টি দেশের অনেকেই নিয়মিত ও সময়মতো চাঁদা দেয় না, যার ফলে বাজেট ঘাটতি হয় এবং কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

এ অবস্থায় জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রস্তাব হলো- সভা কমাতে হবে এবং প্রতিবেদনের সংখ্যা কমাতে হব, তবে যেগুলো তৈরি হবে, তা যেন সব ম্যান্ডেট পূরণে সক্ষম হয়।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়