ফ্লাইট এক্সপার্টের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ,গ্রেফতার ৩

অনলাইনে বিমানের টিকিট বুকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ফ্লাইট এক্সপার্ট-এর মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পরপরই পুলিশ প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
তবে ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান বিন রশিদের কোনো খোঁজ এখনো মেলেনি। তিনি ‘বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন’ বলে পুলিশকে ধারণা দিয়েছেন কর্মীরা।
শনিবার হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইট। সেই সঙ্গে কোম্পানির এমডি সালমানের দেশত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
ওই খবর চাউর হওয়ার পর কোম্পানির গ্রাহক, টিকেট বিক্রেতা, এজেন্সি মালিক, যারা অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের জন্য অর্থ পরিশোধ করেছিলেন, তারা শনিবার দিনভর মতিঝিলে ফ্লাইট এক্সপার্টের কার্যালয়ে ভিড় করেন।
পরে রাতে ফ্লাইট এক্সপার্টের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন সরকার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক বিপুল সরকার। সেখানে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
মামলা হওয়ার পর পুলিশ শনিবার রাতে ফ্লাইট এক্সপার্টের তিনজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন—কোম্পানির হেড অব ফাইনান্স সাকিব হোসেন (৩২), চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদ (৪০) ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৩২)।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, বিপুল সরকার নামে এক গ্রাহক গতকাল শনিবার রাতে মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন। এতে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি দুজন আসামি হলেন ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রাশিদ শাহ সাঈম ও তার বাবা এম এ রাশিদ। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।