বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী

ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। দেশজুড়ে জেন-জিদের নেতৃত্বে চলা বিক্ষোভে ১৯ জন নিহতের পর এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন তিনি।
এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কয়েকজন মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।
গত সপ্তাহে বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেয় নেপাল সরকার। কারণ হিসেবে জানানো হয়, দেশের নতুন নিয়ম অনুযায়ী এই প্ল্যাটফর্মগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা ভুয়া আইডি তৈরি করে বিদ্বেষ ছড়ানো, মিথ্যা খবর প্রচার, প্রতারণা ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামসহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করে নেপাল সরকার। এসব প্ল্যাটফর্মকে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছিল। গত ২৮ আগস্ট থেকে এক সপ্তাহের সময়সীমা দেওয়া হলেও মেটা (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ), অ্যালফাবেট (ইউটিউব), এক্স (সাবেক টুইটার), রেডিট এবং লিংকডইন ওই সময়ের মধ্যে আবেদন জমা দেয়নি।
টিকটক, ভাইবার, উইটক, নিমবাজ, এবং পোপো লাইভ নেপাল সরকারের কাছে নিবন্ধিত থাকায় ব্যবহার করা যাচ্ছিল। টেলিগ্রাম এবং গ্লোবাল ডায়েরি থেকে আসা আবেদনগুলোর যাচাই প্রক্রিয়া চলছে।