কে হবেন ভবিষ্যতের কর্ণধার?
নির্বাচন আর গুঞ্জনে উত্তাল বিসিবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) করিডোরজুড়ে এখন উত্তেজনা, আলোচনার ঝড়, আর গুঞ্জনের রোল উঠেছে—কে হবেন আগামী দিনের পরিচালক? কে হবেন নতুন সভাপতি? আর এই মুহূর্তে বিসিবির সভাপতি পদে বসে আছেন এক ব্যতিক্রমী নাম—আমিনুল ইসলাম বুলবুল। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান, আইসিসির সাবেক কর্মকর্তা। তিনিই এখন বিসিবির হাল ধরেছেন হঠাৎ করেই এক গভীর মোড় ঘোরানো নাটকীয়তায়।
ফারুক আহমেদকে ঘিরে যত জল্পনা ছিল, হাওয়া বদলে গেছে তার উল্টো দিকে। সভাপতি হওয়ার স্বপ্ন ছিল যাঁর, সেই ফারুকই এখন বিসিবির বাইরের মানুষ। জায়গা নিয়েছেন ‘পদ না চাওয়া’ বুলবুল। কিন্তু প্রশ্ন একটাই—এই দায়িত্ব কি কেবল সাময়িক? নাকি নির্বাচনের পরেও তাকে নিয়েই এগোবে দেশের ক্রিকেট?
বুলবুল নিজে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ডে থেকে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। তার ঘনিষ্ঠরাও বলছেন, তিনি দায়িত্ব পালন করতে চান নির্ধারিত সময় পর্যন্তই। এর মধ্যেই চলে আসছে নির্বাচনের ঢেউ। অক্টোবরে বোর্ড নির্বাচন হবে, ধরে নিচ্ছেন সবাই। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরেও নানা জল্পনা। নির্বাচন পিছিয়ে গেলে বিসিবি নির্বাচনও কি পিছোবে?
পরিচালক হতে যাঁদের নাম উঠে আসছে, তাঁদের তালিকাটা বেশ লম্বা। ঢাকার ক্লাব কোটার দাপুটে নাম মাহবুব আনাম, ইফতিখার রহমান মিঠু ও ফাহিম সিনহা—তিনজনই ক্লাবভিত্তিক ভোট ও সংগঠক হিসেবে শক্ত অবস্থানে। মাহবুব আনাম তো বিসিবির ভবিষ্যৎ সভাপতি হিসেবেও আলোচনায়। তার অভিজ্ঞতা, গ্রহণযোগ্যতা আর দীর্ঘ সংগঠক জীবনের মূল্য কম নয়।
তবে প্রতিপক্ষও কম নয়। আলোচনায় রয়েছেন আজিজ আল কায়সার টিটো, মাসুদুজ্জামান, শাহনিয়ান তানিম, লোকমান হোসেন ভুঁইয়া, রফিকুল ইসলাম বাবু, ইশরাক হোসেন ও বাদলের মতো মুখরা সংগঠকরা। তামিম ইকবালও রয়েছেন গুঞ্জনের কেন্দ্রে—পরিচালক না সভাপতি, সেটাই এখন প্রশ্ন।
আর সভাপতি পদের জন্য? সৈয়দ আশরাফুল হক, আলী আসগর লবি, কুতুবউদ্দীন আহমেদ—তিনজনই আলাদা ক্যালিবারের মানুষ। অভিজ্ঞতা আর অবস্থান থেকে সবাই ‘যোগ্য’ বলতেই পারে। তবে শীর্ষ পদে আসলে যাঁর চারদিকে সমীকরণ ঘুরছে, তিনি মাহবুব আনাম।
সবকিছু নির্ভর করছে সময় ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। বিসিবি নির্বাচন হবে সংসদ নির্বাচনের আগে, না পরে—তা-ই বলে দেবে পরবর্তী সভাপতি কে হবেন।