গাজায় অনাহারে ৯৮ শিশুসহ ২১২ জনের মৃত্যু

গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অনাহারে ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৯৮ জনই শিশু। সেখানে খাদ্য সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অনাহারে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। খবর আল জাজিরার।
এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজা শহর দখলে ইসরায়েলের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি অধিবেশনের আয়োজন করতে চলেছে।
অপরদিকে বুয়েনস আইরেস থেকে লন্ডন এবং ইস্তাম্বুল পর্যন্ত বিশ্বের প্রধান শহরগুলোতে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছে। বিশ্ব নেতাদের গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
ইসরায়েলের তেল আবিবেও শনিবার রাতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নতুন গাজা পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। তারা প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধ অবসান ও অবিলম্বে জিম্মিদের মুক্তির দাবি তোলেন।
এর আগের দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছিল, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটি দখলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত হবে। তবে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে জনমত তীব্রভাবে বিভক্ত এবং সামরিক বাহিনী সতর্ক করেছে যে, এ পদক্ষেপ জিম্মিদের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
গাজায় জিম্মি ওমরি মিরানের স্ত্রী বলেন, এটি শুধু সামরিক সিদ্ধান্ত নয়। এটি আমাদের সবচেয়ে প্রিয় মানুষদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হস্তক্ষেপ করে যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানান।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।
সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬১ হাজার ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী এবং আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৫০ জন।