সোমবার , ১১ আগস্ট ২০২৫
Monday , 11 August 2025
১৫ সফর ১৪৪৭

ডেস্ক নিউজ

প্রকাশিত: ২২:৩১, ১০ আগস্ট ২০২৫

সাড়া জাগানো ৫ মিউজিক্যাল সিনেমা

সাড়া জাগানো ৫ মিউজিক্যাল সিনেমা

অনেকে হয়তো মনে করেছিলেন মিউজিক্যাল সিনেমার যুগ হয়তো শেষ হতে চলেছে। কিন্তু পরে দেখা গেল নির্মাতারা শুধু পায়ের ওপর পা তুলে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন রূপে মিউজিক্যাল সিনেমা দর্শকদের উপহার দেওয়ার জন্য। আজকের আয়োজন এমন ৫টি মিউজিক্যাল সিনেমা নিয়ে, যা সারা জাগিয়ে ছিল দর্শক হৃদয়ে। লিখেছেন তামজিদ হোসেন।

ক্যাবারেট

ক্যাবারেট একটি বিখ্যাত সংগীতধর্মী চলচ্চিত্র, যা ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়। বব ফসে পরিচালিত এ সিনেমায় অভিনয় করেন লিজা মিনেলি, মাইকেল ইয়র্ক, জোয়েল গ্রে সহ আরও অনেকে। এ চলচ্চিত্রটিতে ১৯৩০-এর দশকের বার্লিনের রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা এবং সেই সময়ের মানুষের জীবনযাত্রার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এ ছবিটি একাধিক অস্কার পুরস্কারসহ একটি কাল্ট ক্ল্যাসিক হিসেবে বিবেচিত হয় সিনে-ইন্ডাস্ট্রিতে।

সিঙ্গিন ইন দ্য রেইন

সিঙ্গিন ইন দ্য রেইন মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫২ সালে। সর্বকালের সেরা মিউজিক্যাল হিসেবে খ্যাত এ মুভিটিতে সব কিছুই আছে, যেগুলো একটি গোল্ডেন এজ মিউজিক্যালে থাকা উচিত, অসম্ভব সুন্দর আর নিখুঁত কোরিওগ্রাফি কিংবা একগাদা স্মরণীয় গান। যদিও আগের মতো বর্তমানে মিউজিক্যাল মুভি হলিউডে অতটা জনপ্রিয় নয়, তারপরও জিন কেলি এবং স্ট্যানলি ডোনেনের পরিচালনায় এ সিনেমাটি এত বছরেও তার উজ্জ্বলতা হারায়নি। ডন লকউড এবং ক্যাথি সেলডনের রোমান্সের মধ্যে দিয়ে হলিউডে সবাক চলচ্চিত্রের আবির্ভাবের পর নির্বাক চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা এবং স্টুডিওগুলো কীভাবে সে পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে মুভিটিতে। সিঙ্গিন ইন দ্য রেইন শুধু সেই গল্পই তুলে ধরেনি, সঙ্গে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দুর্দান্ত অভিনয় এবং অসম্ভব সুন্দর কিছু গান সঙ্গে নিখুঁত কোরিওগ্রাফি পুরো মুভিটিকেই প্রাণবন্ত করে রেখেছিল।

দ্য উইজার্ড অব ওজ

দ্য উইজার্ড অব ওজ সিনেমাতে দেখা যাবে কানসাসের খামারবাড়ি থেকে ছোট্ট ডরোথি গেইল ও তার কুকুর টোটোকে এক টর্নেডো উড়িয়ে নিয়ে যায় জাদুময় ওজের দেশে। সেখানে তিন নতুন বন্ধুর সঙ্গে মিলে তারা বের হয় জাদুকরের সন্ধানে, যিনি ডরোথিকে বাড়ি ফেরাতে এবং বাকিদের ইচ্ছা পূরণ করতে পারেন। ভিক্টর ফ্লেমিং, জর্জ কুকর ও নর্মান টাউরগের পরিচালনায় নির্মিত এবং ১৯৩৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন জুডি গারল্যান্ড, ফ্রাঙ্ক মরগান, রে বলগারসহ আরও অনেকে।

অ্যান আমেরিকান ইন প্যারিস

এ সিনেমা সে সময় খুব বেশি হাইপ না তুললেও কোনোরকম ভাবে সব বাধা পেরিয়ে এসে প্রথম সারির মিউজিক্যালে পরিণত হয় একমাত্র জিন কেলির অসাধারণ নৃত্যপ্রতিভা ও কোরিওগ্র্যাফির কারণে। কিন্তু ‘অ্যান আমেরিকান ইন প্যারিস সমালোচক ও বাণিজ্যিকদুই ক্ষেত্রেই বিশাল সাফল্য অর্জন করে। ছবিটি আটটি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন পায় এবং ছয়টি (যার মধ্যে ছিল সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার) জিতে নেয়। পাশাপাশি, এটি শিল্পের অন্যান্য সম্মানও অর্জন করে, যেমন সেরা মোশন পিকচার, মিউজিক্যাল বা কমেডি বিভাগে প্রথম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার। ১৯৫১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন ভিনসেন্ট মিনেলি।

ন্যাশভিল

১৯৭৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল রবার্ট আল্টম্যান পরিচালিত ও প্রযোজিত মার্কিন মিউজিক্যাল কমেডি চলচ্চিত্র ন্যাশভিল। টেনেসির ন্যাশভিল শহরের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এ সিনেমাটি কান্ট্রি ও গসপেল মিউজিক জগতের সঙ্গে জড়িত একাধিক মানুষের জীবন, স্বপ্ন ও সংগ্রামের গল্প তুলে ধরে। সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ানো এই ছবিটি সংগীত ও সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে একই সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছিল, যা একে সময়ের অন্যতম প্রভাবশালী চলচ্চিত্রে পরিণত করে।

এ সিনেমাটি অভিনয় করেছিলেন কিথ ক্যারাডিন, ডেভিড আরকিন, কারেন ব্ল্যাকসহ আরও অনেকে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়