গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৯৪, মোট প্রাণহানি ছাড়াল ৬০ হাজার

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর টানা বোমা হামলায় সোমবার (৪ আগস্ট) একদিনেই নিহত হয়েছেন অন্তত ৯৪ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ৪৩৯ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অনেকে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৬০,৯৩৩ জন ফিলিস্তিনি, আর আহত হয়েছেন ১,৫০,০২৭ জন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দখলদার বাহিনীর বোমার শিকারদের অনেকেই এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও উদ্ধারকর্মী না থাকায় তাদের উদ্ধার করা যাচ্ছে না।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সোমবার ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ৩০০ জন।
ত্রাণ কেন্দ্র ও সমবেত মানুষের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
চলমান সংঘাতের প্রথম ধাপে ১৫ মাস টানা অভিযান চালানোর পর গত ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারী দেশের চাপে আংশিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। কিন্তু দুই মাস না পেরোতেই ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ।
দ্বিতীয় দফার এই অভিযানে গত চার মাসে নিহত হয়েছেন আরও ৯,৪৪০ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৩৭,৯৮৬ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১,২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে।
বর্তমানে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে ৩৫ জন এখনও জীবিত রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে আইডিএফ।
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বারবার যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল এবং সব জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে।
এদিকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস - ICJ)–এ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলমান রয়েছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি