ডি১ ভিসায় ইউরোপে চাকরি ও স্থায়ী হওয়ার পথ খুলছে

ইউরোপে বৈধভাবে কাজ ও স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুযোগ এনে দিয়েছে পর্তুগাল। ২০২৫ সালের জন্য পর্তুগালের অফিসিয়াল ওয়ার্ক পারমিট - D1 ভিসা — এখন বাংলাদেশিদের জন্য উন্মুক্ত। সহজ শর্তে আবেদনযোগ্য এই ভিসা কর্মজীবী মানুষদের জন্য ইউরোপের দরজা খুলে দিচ্ছে।
D1 ভিসা কী?
পর্তুগালের D1 ক্যাটাগরির ভিসা হলো একটি অফিসিয়াল ওয়ার্ক পারমিট, যার মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকেরা বৈধভাবে পর্তুগালে গিয়ে চাকরি করতে পারেন। শুধু কাজ নয়, এই ভিসার মাধ্যমে পরবর্তীতে TRP (Temporary Residence Permit), পার্মানেন্ট রেসিডেন্স (PR), এমনকি নাগরিকত্ব (সিটিজেনশিপ) পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের যোগ্যতা ও শর্তাবলি
- বয়স: ২০ থেকে ৪৫ বছর
- নারী ও পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন
- শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়
- আবেদনকারীর ভারতের যেকোনো ভিসা (যেমন ট্যুরিস্ট/ট্রানজিট) থাকতে হবে
- আবেদনকারীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- বৈধ পাসপোর্ট (কমপক্ষে ১ বছরের মেয়াদ)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- ভারতের যেকোনো বৈধ ভিসা
- অন্যান্য কাগজপত্র – প্রক্রিয়াকারী প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করে দেবে
প্রসেসিং টাইমলাইন
- আবেদন থেকে ভিসা হাতে পাওয়ার সম্ভাব্য সময়: ৬ থেকে ৮ মাস
- ফাইল জমা: দিল্লিতে ২ দিনের মধ্যেই জমা দিয়ে ফেরা সম্ভব
- সময়কাল ভিসা জমার সময় ও ব্যাচভেদে কিছুটা কম-বেশি হতে পারে
পর্তুগালে পৌঁছে যা পাবেন
পর্তুগালে পৌঁছানোর পর আবেদনকারীকে দেওয়া হবে—
- Tax Identification Number (NIF)
- Social Security Number (SSN)
- TRP ফিঙ্গারপ্রিন্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট
- বাসস্থান ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত গাইডলাইন ও সহায়তা
বিশেষ সতর্কতা
- আবেদনকারীকে অবশ্যই নির্ভরযোগ্য ও অভিজ্ঞ মাধ্যমে ফাইল জমা দিতে হবে
- দালালচক্রের প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল
- ভারতীয় ভিসা ছাড়া বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আবেদন সম্ভব নয়