ধর্ষণের প্রধান কারণ পর্নোগ্রাফি, অভিযুক্তদের বেশিরভাগই বিবাহিত পুরুষ: গবেষণা

ধর্ষণের শিকার নারীরা এখনও উল্টো দোষারোপের শিকার হন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছাত্রী। নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের ৬২ শতাংশই বিবাহিত পুরুষ। পুলিশের এলিট ইউনিট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিচালিত এ গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ধর্ষণের প্রধান কারণ হলো পর্নোগ্রাফি।
দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের জরিপ চালানো হয়। এতে ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সংঘটিত ৮৪টি ধর্ষণ মামলার ২১২ জন অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীর বক্তব্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু ইউসুফ বলেন, “মূলত শিশু ও ছাত্রীরাই বেশি ধর্ষণের শিকার হয়। চার বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৬৭ বছরের বৃদ্ধাও এ অপরাধের শিকার হয়েছেন। অভিযুক্তদের প্রায় ৭০ শতাংশই বিবাহিত। রাতের তুলনায় দিনে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপরাধীরা পরিচিতজন—প্রতিবেশী, আত্মীয়, সহপাঠী, শিক্ষক কিংবা সহকর্মী।”
সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, অপরাধপ্রবণ মানসিকতা, নিয়ন্ত্রণহীন যৌন চাহিদা, মাদকাসক্তি এবং সহজে পর্নোগ্রাফি পাওয়ার সুযোগ ধর্ষণের প্রবণতা বাড়াচ্ছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মির্জা তাসলিমা সুলতানা বলেন, “শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি পরিবার ও সামাজিক পর্যায়ে সচেতনতা এবং সতর্কতা জোরদার করতে হবে।”
পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অনেক ভিকটিমকে প্রেম, বিয়ে কিংবা চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলা হয়। কারও অন্তরঙ্গ ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। আবার শিশুদের প্রলোভন দেওয়া হয় চকলেট, চিপস বা খেলনার মাধ্যমে।