অন্তর্বর্তী সরকারের অন্তত ৮ উপদেষ্টার দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে: সাবেক সচিব সাত্তার

অন্তর্বর্তী সরকারের অন্তত আটজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে "সীমাহীন দুর্নীতি"র সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার। তিনি জানান, এই প্রমাণ শুধু তার নিজের কাছেই নয়, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছেও রয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধেই কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এক সেমিনারে সাত্তার বলেন, আমি অন্তত আটজন উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ দিতে পারি। একজন উপদেষ্টার এপিএসের অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে, অথচ তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় অনভিজ্ঞ ও অযোগ্য উপদেষ্টাদের হাতে তুলে দেওয়া কতটা যৌক্তিক?
সাবেক সচিব সাত্তার আরও অভিযোগ করেন, “এই উপদেষ্টাদের অনুমতি ছাড়া প্রশাসনে কোনো নিয়োগ বা বদলি পর্যন্ত সম্ভব নয়।” তিনি বলেন, “জনগণের রক্তের বিনিময়ে আসা সরকারের এই চেহারা হতাশাজনক।”
আব্দুস সাত্তার দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের সময়কালে দুর্নীতি কমার বদলে বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, এক সহকারী কমিশনার (ভূমি) জমির নামজারিতে ৩০ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছেন। ঢাকার আশেপাশের এক ইউএনও একটি কারখানার লে-আউট পাশ করতে ২০ লাখ টাকা চেয়েছেন।
তিনি বলেন, গত বছর ৫ আগস্টের পর দলীয় অফিসে হাজার হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ভিড় করছিলেন। এমন অবস্থায় তারেক রহমান নির্দেশ দেন, ইন-সার্ভিস কর্মকর্তা যেন দলীয় অফিসে না আসেন। পরবর্তীতে আমি অফিস গেটে নোটিশ দিয়ে তা নিষিদ্ধ করি।