গাংনী থানার কাছে ককটেল ফাটিয়ে ডাকাতি

মেহেরপুরের গাংনী থানার কাছে ককটেল ফাটিয়ে ডাকাতি করা হয়েছে। ডাকাতদল অন্তত ২০ জন নারী-পুরুষকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাত ৯টায় থানা ভবনের আধা কিলোমিটারের মধ্যে ধানখোলা সড়কে এ ডাকাতি হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, থানা ভবনের পাশেই ধানখোলা সড়ক। এ সড়কে কিছুদিন আগেও ডাকাতি হয়েছে। গাংনী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ডাকাতি প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ কারণে মঙ্গলবার রাতে বোমা ফাটিয়ে আবারো ডাকাতি হলো।
তারা জানান, সন্ধ্যার পর গাংনী উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় ডাকাতি ও ছিনতাই হয়। আতঙ্ক ও জীবনে ঝুঁকি নিয়ে সড়কে চলতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপরতা বৃদ্ধি না করলে যেকোনো সময় আবার ছিনতাই ও ডাকাতি হতে পারে।
মঙ্গলবার রাতে গাংনী থানা থেকে ধানখোলা যাওয়ার রাস্তায় বিল্লালের নার্সারির সামনে ৭-৮ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তিনটি ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তারা পথচারী ইয়াসির আরাফাতের ৭ হাজার টাকা, আব্দুল হালিমের ৬০০ টাকা, শাহ জামালের ৫ হাজার টাকা, রেজিয়া খাতুনের ৭০০ টাকা, মিন্টুর ২ হাজার ৫০০ টাকা, মহব্বত আলীর ২ হাজার ২০০ টাকা, কুরসিয়া খাতুনের ২ হাজার ৫০০ টাকাসহ লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ভুক্তভোগীদের বাড়ি ধানখোলার মহিষাখোলা ও আড়পাড়া গ্রামে।
ভুক্তভোগী আব্দুল হালিম বলেছেন, “আমরা গাংনী থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলাম। এ সময় ডাকাত সদস্যরা আমাদের পথ রোধ করে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাদের সাথে দুটি কথা বললেই মাইর দেয়। ১৫ থেকে ২০ জনের কাছ থেকে তারা মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। ডাকাতদের কাছে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ছিল। তাদের প্রত্যেকের বয়স ২৫ বছরের মধ্যে।”
আরেক ভুক্তভোগী মিন্টু হোসেন বলেন, “গাংনী থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলাম। ধানখোলা সড়কে বিল্লালের নার্সারির কাছে পৌঁছালে ডাকাত সদস্যরা গতিরোধ করে। এ সময় আমার কাছে থাকা ৭ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। আরো অনেকের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। ডাকাতদলে ৭ থেকে ৮ জন সদস্য ছিল।”
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি ইসরাইল বলেছেন, ডাকাতির খবর শুনেই রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পুলিশ ডাকাতদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে।