যে বিশেষ দৃশ্যের জন্য পরিচালককে চড় মেরেছিলেন অভিনেত্রী

‘বেসিক ইনস্টিংক্ট’—নামটি শুনলেই মনে পড়ে যায় শ্যারন স্টোন আর মাইকেল ডগলাসের আগুন ঝরানো রসায়নের কথা। ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া এই থ্রিলার একসময় দুনিয়াজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্যারন স্টোন যা বললেন, তা সিনেমার চেয়েও নাটকীয়। বিজনেস ইনসাইডারকে দেওয়া সেই বক্তব্যে স্টোন জানিয়েছেন, ছবির বিতর্কিত নগ্ন দৃশ্যটি নিয়ে প্রতারিত হওয়ার পর তিনি নিজেই পরিচালক পল ভারহোভেনের মুখে চড় মেরেছিলেন।
স্টোন জানান, মাইকেল ডগলাস প্রথম থেকেই চেয়েছিলেন না তিনি (ডগলাস) কোনো অচেনা অভিনেত্রীর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করুন। তাই অডিশনের সময় তার সঙ্গে স্ক্রিন টেস্টও করেননি ডগলাস। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এমনকি কান চলচ্চিত্র উৎসবের এক অনুষ্ঠানেও দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়, কারণ ডগলাস এমন একজন ব্যক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করেন যিনি স্টোনের খুব পরিচিত ছিলেন।
কিন্তু সবচেয়ে বড় আঘাতটি আসে সেই বিখ্যাত দৃশ্যটি নিয়ে। শ্যারন বলেন, তাকে বলা হয়েছিল ক্যামেরায় কিছুই দেখা যাবে না, শুধুই আলোর প্রতিফলন হচ্ছে বলে সাদা আন্ডারওয়্যার খুলে ফেলতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সত্যিটা সামনে আসে ছবির প্রিমিয়ারে, যখন তিনি এজেন্ট আর আইনজীবীদের সঙ্গে বসে প্রথমবার দেখেন তার শরীরের গোপন অংশ বড় পর্দায় ফুটে উঠেছে।
স্টোন লেখেন, ‘‘আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তখন কিছু করার ছিল না। তবে পরে, আমি গিয়ে পরিচালকের মুখে চড় মেরেছিলাম।’’
এই সিনেমায় কাজ করাটা শ্যারনের জন্য সহজ ছিল না। মাইকেল ডগলাসের সঙ্গে তখন বন্ধুত্ব ছিল না, ছিল তিক্ততা। তবে অভিনয়ের সময় সেটাই চরিত্রের কাজে এসেছে বলে জানান তিনি। যদিও পরে ধীরে ধীরে ডগলাসের সঙ্গে তার সম্পর্ক উন্নত হয়। আজও স্টোন ডগলাসকে একজন ‘দুর্দান্ত অভিনেতা’ হিসেবে সম্মান করেন।
এদিকে ‘বেসিক ইনস্টিংক্ট’-এর নতুন সংস্করণ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে অ্যামাজন এমজিএম স্টুডিও। তবে এতে শ্যারনের অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত।