মঙ্গলবার , ২৬ আগস্ট ২০২৫
Tuesday , 26 August 2025
০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:১২, ২৪ আগস্ট ২০২৫

গাজার মানবিক সংকট তুলে ধরে মেলানিয়া ট্রাম্পকে এমিনি এরদোগানের চিঠ

গাজার মানবিক সংকট তুলে ধরে মেলানিয়া ট্রাম্পকে এমিনি এরদোগানের চিঠ
ছবি: সংগৃহীত

গাজার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও মানবিক সংকট বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোগান একটি আবেগঘন চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের কাছে। গাজার শিশুদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেখানে মানবিক সহায়তা জোরদারে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

চিঠিতে এমিনি এরদোগান মেলানিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেন, ছয় বছর আগে হোয়াইট হাউজে তাদের সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই স্মৃতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন মা হিসেবে, একজন নারী হিসেবে মেলানিয়ার মানবিক অবস্থান তাকে অনুপ্রাণিত করে।

চিঠির শুরুতেই এমিনি তুলে ধরেন ইউক্রেন যুদ্ধের সময় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে পাঠানো মেলানিয়ার চিঠির কথা। তিনি বলেন, সেই চিঠিতে মেলানিয়া যে আবেগ ও সহানুভূতি দেখিয়েছেন, তা বিশ্বজুড়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়।

এমিনি এরদোগান লিখেন, আপনি বলেছিলেন, প্রতিটি শিশুরই নিরাপদ ও ভালোবাসাময় পরিবেশে বড় হওয়ার অধিকার রয়েছে। এই অধিকার জাতি, ধর্ম বা মতাদর্শ দিয়ে সীমাবদ্ধ নয়। যারা এই অধিকার থেকে বঞ্চিত, তাদের পাশে দাঁড়ানো মানবতার প্রতি দায়িত্ব।

চিঠিতে তিনি আরও বলেন, যুদ্ধকবলিত ইউক্রেনে আপনার সহানুভূতি যেমন আশার আলো জ্বালিয়েছে, গাজার শিশুদের জন্যও তেমন আলো আপনি জ্বালাবেন—এই আশায় আমি লিখছি।

এমিনি এরদোগান পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধে ৬৪৮ শিশুর প্রাণহানি হয়েছিল। সেখানে মেলানিয়া যেভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, একই মনোভাব আশা করা যায় গাজার ক্ষেত্রেও। কারণ, সেখানে মাত্র দুই বছরে ১৮ হাজার শিশু প্রাণ হারিয়েছে। মোট প্রাণহানি হয়েছে ৬২ হাজারের বেশি। তারা সবাই ছিল বেসামরিক মানুষ—নিরপরাধ।

চিঠির একপর্যায়ে এমিনি বলেন, একজন মা, একজন নারী এবং একজন মানুষ হিসেবে আপনার চিঠির আবেগ আমি গভীরভাবে অনুভব করি। গাজার শিশুরাও আপনার আলোর অপেক্ষায়।

চিঠির মাধ্যমে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি স্পষ্টভাবে একটি বার্তা দিয়েছেন, শিশুদের জীবন রক্ষায় বৈশ্বিক মানবতা জাগ্রত করা এখন সময়ের দাবি, তা সে ইউক্রেন হোক কিংবা গাজা। 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়