মঙ্গলবার , ২৬ আগস্ট ২০২৫
Tuesday , 26 August 2025
০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ২৫ আগস্ট ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ফি বাড়ছে ১৩৫ শতাংশ

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ফি বাড়ছে ১৩৫ শতাংশ
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ আরও ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হওয়া নতুন আইন “ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট” অনুযায়ী, নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার জন্য আবেদনকারীদের অতিরিক্ত ২৫০ ডলার ফি দিতে হবে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এই নতুন ভিসা ফি কার্যকর হতে পারে বলে জানা গেছে। খবর ইউএসএ টুডের। 

বর্তমানে একটি ভ্রমণ ভিসার (বি১/বি২) ফি ১৮৫ ডলার। নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে মোট খরচ দাঁড়াবে প্রায় ৪৩৫ ডলার — যা এক লাফে ১৩৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসামুক্ত কর্মসূচি (ইএসটিএ)–এর আওতাভুক্ত দেশগুলোর ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে না।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, নতুন ফি ২০২৬ সালে কার্যকর হতে পারে, যদিও আইনি দিক থেকে এটি আগামী অর্থবছরের শুরুতেই চালু করা সম্ভব। যদি তা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভিসাগুলোর একটি হয়ে দাঁড়াবে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, নতুন ফি হয়ত ফেরতযোগ্য। কিন্তু কীভাবে এ ফি ফেরত দেওয়া হবে সেটির কোনো পরিষ্কার কাঠামো বা নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে যা পরিষ্কার সেটি হলো—যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের খরচ বাড়তে যাচ্ছে।

ইউএসএ টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন ভিসা ফি শুধু পর্যটন নয়, ক্রীড়া ও আন্তর্জাতিক আয়োজনেও প্রভাব ফেলবে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ ও ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে নিম্ন-আয়ের দেশগুলোর সমর্থক এমনকি খেলোয়াড়দের জন্যও অংশগ্রহণ কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

একটি পরিবার যদি পাঁচ সদস্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের পরিকল্পনা করে, তবে শুধুমাত্র ভিসা ফি বাবদ তাদের খরচ হবে দুই হাজার ডলারের বেশি। অনেকের জন্য তা অসহনীয় হয়ে উঠবে, ফলে তারা অন্য দেশে ভ্রমণ করতে বাধ্য হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটন খাতই।

বিশ্বজুড়ে ভিসা ব্যবস্থা অনেকাংশেই পারস্পরিক নীতির ওপর চলে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা ফি বাড়ালে অন্যান্য দেশও একই পথ ধরতে পারে। এতে আমেরিকান ভ্রমণকারীদেরও বিদেশ ভ্রমণ ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে।

ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৬ সাল থেকে তাদের ভিসামুক্ত ভ্রমণ অনুমোদন ইটিআইএএস–এর ফি ৭ ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০ ডলারের বেশি করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীরা দেশটিতে ২১২ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেছেন। একই সময়ে পর্যটন খাত যুক্তরাষ্ট্রের মোট জিডিপির প্রায় ৩ শতাংশ অবদান রেখেছে।

অন্যদিকে, চীন পর্যটন খাত উন্মুক্ত করার পর বিপুলসংখ্যক বিদেশি ভ্রমণকারীকে আকর্ষণ করেছে। দেশটির সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৪ সালে চীন প্রায় ১৩২ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারী গ্রহণ করেছে, যা থেকে ৯৪.২ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়