ভারত দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইবে: মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী

ভারত–যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। এরই মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকের দাবি, শুল্ক ইস্যুতে চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত দিল্লি সরে আসবে এবং আগামী দুই মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হবে। একই সঙ্গে ভারতকে চুক্তির টেবিলে ফেরার কথাও বলেন তিনি। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ভারতকে সতর্ক করে দেন।
লুটনিক বলেন, ভারতের কড়া অবস্থান মূলত ‘লোক দেখানো’। বাস্তবে দেশটির ব্যবসায়ীরাই ওয়াশিংটনের সঙ্গে সমঝোতার পক্ষে চাপ দেবে। তার অভিযোগ, ভারত বাজার খুলতে চায় না, রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে চায় না, আবার ব্রিকস জোটেও থাকতে চায়। তিনি কঠোরভাবে বলেন, “আপনারা যদি রাশিয়া–চীনের সেতু হতে চান, হন। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ডলারকে সমর্থন করতেই হবে, নইলে শুল্ক বহাল থাকবে।”
ভারতের রাশিয়ান তেল কেনা নিয়েও সমালোচনা করেন লুটনিক। তার ভাষায়, নিষিদ্ধ ও সস্তা হওয়ায় নয়াদিল্লি সেটি কিনে বিপুল মুনাফা করছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন, “ভারত ও রাশিয়াকে চীনের অন্ধকারে হারিয়ে ফেলেছি।” তিনি ব্যঙ্গ করে এই তিন দেশের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ কামনা করেন। বিশ্লেষকদের মতে, এটি নয়াদিল্লি-মস্কো-বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে ট্রাম্পের সবচেয়ে স্পষ্ট মন্তব্য।
তবে ভারতের পক্ষ থেকে এসব দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সিএনবিসি টিভি১৮–কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ভারত নিঃসন্দেহে রাশিয়ান তেল কিনতে থাকবে। “আমরা আমাদের প্রয়োজনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবো, তেল রাশিয়া বা অন্য যে দেশ থেকেই আসুক,” মন্তব্য করেন তিনি।