গোপালগঞ্জে সহিংসতা: রাজনৈতিক দায় এড়াতে পারবে না কেউ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একই সঙ্গে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
বুধবার বিকেলে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, “গোপালগঞ্জে যে সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে নিন্দনীয় ও অমার্জনীয়। শান্তিপূর্ণভাবে এক বছর আগের বিপ্লবী আন্দোলনের বার্ষিকী পালন করতে আসা তরুণ নাগরিকদের ওপর এমন হামলা তাদের মৌলিক অধিকার হরণের শামিল।”
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, এ হামলায় এনসিপি সদস্য, সাংবাদিক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “এই বর্বরোচিত হামলা, যা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ ও দলীয় কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে—তার জবাবদিহি অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে। হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।”
এছাড়া সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের প্রশংসা করা হয় বিবৃতিতে। একইসঙ্গে সাহসী ছাত্রদের ‘অবিচলতা ও দৃঢ় মনোবলের’ জন্যও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
বিবৃতির শেষ অংশে সরকারের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, “এই বর্বরতার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। এটা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিচ্ছি: বাংলাদেশের মাটিতে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে—এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।”
ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক প্ররোচনা আছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। যদিও এ বিষয়ে সরকারি বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।