বৃহস্পতিবার , ২৪ জুলাই ২০২৫
Thursday , 24 July 2025
২৮ মুহররম ১৪৪৭

প্রবাসন প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:০২, ১৭ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ০০:০৩, ১৭ জুলাই ২০২৫

ককটেল-গুলির ভেতর ‘জাতীয় সম্পদ’ রক্ষা, এপিসি নাটকে উত্তাল ফেসবুক

ককটেল-গুলির ভেতর ‘জাতীয় সম্পদ’ রক্ষা, এপিসি নাটকে উত্তাল ফেসবুক

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও শীর্ষ কয়েকজন নেতার সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান (এপিসি)-তে ওঠার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচনার জবাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন এনসিপি’র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন।

বুধবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে তুহিন লেখেন, “আর্মি যখন আমাদের রেসকিউ করতে আসে তখন বাইরে চলছিল গুলি ও ককটেল হামলা। আর্মির সাফ কথা ছিল-ফেস বাই ফেস সবাইকে এপিসিতে নেওয়া হবে। এটা তাদের নির্দেশ।”

তুহিন জানান, এনসিপি নেতারা চান সবাই একসঙ্গে গাড়িতে যেতে। কিন্তু পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় সেনা কর্মকর্তারা অনুরোধ করেন শীর্ষ নেতাদের অন্তত সাঁজোয়া যানেই তোলা হোক। আমি ও ওয়াহিদ একপ্রকার জোর করেই নাহিদ ও হাসনাত ভাইকে এপিসিতে তুলে দিই, বলেন তুহিন।

তিনি আরও বলেন, বহর বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নাহিদ ভাইয়ের গাড়িকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু হয়-ককটেল, গুলি, ইটপাটকেল। অনেক গাড়ির কাচ ভেঙে যায়, অনেকে আহত হন, এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও।

তার দাবি, “আমাদের বহরের এক গাড়িকে গুলি করে চাকা পাংচার করা হয়, দুইটা গাড়ি ঝাঁজরা হয়ে যায়। প্রশাসনের অবস্থান দেখে মনে হচ্ছিল, যেন হাসনাত ভাইরা মরে গেলেই তারা খুশি হতেন।

এপিসি নিয়ে সমালোচনার জবাবে তুহিন লেখেন, “আমরা যদি জানতাম আপনারা ওই এপিসি নিয়ে পড়ে থাকবেন, তাহলে হয়তো সেদিন আমরা সবাই ওইখানেই মরে যেতাম।”

তার ভাষ্য, যেখানে আমরা কয়েক হাজার অস্ত্রধারীর হামলার মুখে ৪ ঘণ্টা ধরে টিকে ছিলাম, সেখানে কিছু মানুষ এখন আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যাখ্যার চেয়ে একটি গাড়িতে ওঠাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন-এটা দুঃখজনক।

তুহিনের দাবি, আমাদের নেতারা আমাদের সঙ্গে সাধারণ গাড়িতেই চলাফেরা করেন, আমাদের মতোই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকেন। আমরা নিরাপত্তাবেষ্টিত বিলাসী শোভাযাত্রা করি না।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়